প্রারম্ভিক জীবন
কর্মজীবন
আনোয়ার উদ্দিন খান ১৯৬১ সালে একটি ব্যাংকে চাকরিতে যোগদান করেন। পাশাপাশি তিনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন।
কবি-গীতিকার আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও তার যুগলবন্দী বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা পালন করে। তার কণ্ঠদান করা প্রথম চলচ্চিত্র অপরাজিতা। চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
তার সুরারোপিত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাল্যবন্ধু, ও মায়ার সংসার (১৯৬৯)। এছাড়া তিনি ময়না মতি (১৯৬৯) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। তার লেখা গানের মধ্যে রয়েছে “লোকে বলে প্রেম”, “পুরাতন মনটাতে আর সয়না কোন নতুন জ্বালাতন”, “কচি পাতার টিয়া রং” এবং “জড়োয়া অলংকারে”।
‘বাল্যবন্ধু’ ছবিতে গেয়েছিলেন, ‘সেলাম সেলাম শহরবাসী চলি নিরুদ্দেশে, মায়ের আদেশ পালন করতে গিয়ে চলি বনবাসে’।
স্বাধীনতার আগে ‘অপরিচিতা’ নামে একটি ছবিতে কণ্ঠ দেন তিনি। যার গানের কলি হচ্ছে, ‘দূর হতে ডাকে কে যেন আমারে’। ছবির জগতের চেয়ে তিনি ছিলেন আধুনিক গানের সম্রাট।
ভরাট কণ্ঠের অধিকারী আনোয়ার উদ্দিন খানের বেশ কিছু গান শ্রোতামনকে আকৃষ্ট করে। ‘লোকে বলে প্রেম আর আমি বলি জ্বালা’ গানটি এখনও সবাইকে শিহরিত করে তোলে। অবশ্য এ গানটি এদেশের কিংবদন্তি শিল্পী ফেরদৌসী রহমানও গেয়েছেন। শিল্পী আনোয়ার উদ্দিন খান ফেরদৌসী রহমানের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে বেশ কিছু গান গেয়েছেন।
সম্মাননা
আনোয়ার উদ্দিন খান ২০০ গানের রচয়িতা, ৫০০ গানের সুরকার এবং কন্ঠশিল্পী । সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্নভাবে অবদান রাখার জন্য ২০০৫ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত (মরনোত্তর) হন।