আমিতো লাজে মরি কিজে করি [ Ami Laze Mori Kije Kori ]

আমিতো লাজে মরি কিজে করি [ Ami Laze Mori Kije Kori ]
লেবেলঃ স্টুডিও গুরুকুল [ Studio Gurukul ]
প্রযোজনাঃ সঙ্গীত গুরুকুল [ Music Gurukul ]
কাভারঃ সাইদুল ইসলাম সজল [ Saidul Islam Sojol ]

 

Music Gurukul logo of Gurukul Online Learning Network 350X70 V.02

 

আমিতো লাজে মরি কিজে করি

আমি লাজে মরি কিযে করি
গলায় দড়ি দিয়া
বিপদে পইড়াছি বড়
বাউল গান শিখিয়া
আমি লাজে মরি ।
ভেবেছিলাম গানের জগৎ
খুবই একটা ভাল
আমি গান শিখিবো বাউল হব
জ্বালবো জ্ঞানের আলো
দেখলাম বাউল হইয়া
গানে গিয়া কপাল বড় পোড়া
এই গান গাইয়া বেড়ায় ইতর ফাতরা যারা
আমি লাজে মরি ।

সাধু মহৎ বাউল ছিলো,যত জ্ঞানী গুনি
পালাইয়া গেছে তারা গানে নামছে খুনি
ওরা গায়ের জোরে মুরুব্বিরে করে অপমান
কথায় কথায় তুইলা বহে
হাদিস আর কোরআন
আমি লাজে মরি ।
ঢিলাঢোলা পান্জাবী গায় মাথায় লম্বা চুল
নিজেরে পরিচয় দেয় সে মস্ত এক বাউল
শেষে বায়না লইয়া গানে গিয়া
আন্তাজে গান তুলি
নিজে খায় জোতার বারি
তার মা বাপ শুনে গালি
আমি লাজে মরি ।

কেউ ক্যাসেটে দুলাভাই
কেউ হইয়াছে শালি
কেউ সাজিলো সুজন বাইদ্দা
কারো মাথায় চুরির ঢালি
কেহ নানা হইলো জড়ায়ইলো
নাতিনেরে গিয়া
দিলো বাউলের কপালে কালি
এই সব ক্যাসেট দিয়া
আমি লাজে মরি ।
গান না শিখিয়া কিছু মাইয়া
গানের সুযোগ নিয়া
বছরে বছরে বহে সাত আট খান বিয়া
কেহ স্বামী হারা খাইছে ধরা
রাখছে উপ স্বামী
আবার কেহ স্বামী থুইয়াই
করতেছে ভন্ডামী
আমি লাজে মরি ।

মান্য গন্য নাই আর এখন
উল্টা গেছে ধারা
চেয়ারে বইয়া পা ঝুলাইছে
চোট গায়ক যারা
ওরা চোখ উল্টাইয়া ঠমক দিয়া
চলে আরে ঠারে
পোষাকের বাহার দিয়া কত সাধু মারে
আমি লাজে মরি ।
আছে কিছু গানের মাইয়া অল্প বইস্যা ছেরি
বিয়া সাদির ধার ধারেনা জামাই গন্ডাচারি
যত চরিত্র হীন লজ্জা বিহীন
দিছে গানের মাথায় বারি
হাই কোর্ট আর মিরপুরে কত বারি বুরি
আমি লাজে মরি ।

এখনো সময় আছে আল্লার কাছে
ক্ষমা চাইয়া নিও
কার জীবনে কি কইরাছো
মনেরে জিগায় ইও
একদিন ডুববে তরী বোঝাই ভারী
পাপে গেছে ছাইয়া
একদিন ও ভাবলি না তুই
কানবি পার ঘাটাতে বইয়া
আমি লাজে মরি ।
দারুন বিধি বাম হইবো
গজব ঢাইলা দিলো
মাতাল রাজ্জাকেরে কেনো খোদায়
এই গানে নামাইলো
ছিলো জমিদারি বাবুগিরি গেল ফুরাইয়া
এই মোনাজাত করি খোদা
লও আমায় উঠাইয়া
আমি লাজে মরি ।

 

Google news
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

লোকসঙ্গীত ঃ

লোক সঙ্গীত বাংলাদেশের সঙ্গীতের একটি অন্যতম ধারা। এটি মূলত বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনের কথা, সুখ দুঃখের কথা ফুটে ওঠে এই সঙ্গীতে। এর আবার অনেক ভাগ রয়েছে। এটি একটি দেশের বা দেশের যেকোনো অঞ্চলের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। যেমন ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, গম্ভীরা ইত্যাদি।

প্রতিকূল প্রকৃতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য আদিম যুগ থেকে মানুষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই লড়াই থেকে উদ্ভূত ছন্দ আর সুরই লােকসংগীত। তাই এই গান শ্রমজীবী মানুষের অবসর বিনােদনের গান। পল্লির সমাজজীবনে যে গান বহুযুগ ধরে মুখে মুখে রচিত হয়ে মুখে মুখেই প্রচার লাভ করে, তাই লােকগান।

পশ্চিমবঙ্গের এবং বাংলা দেশের লােকগানের যতগুলি ধারা আছে, সেগুলিকে আমরা মূলত চারটি অঞ্চলভেদে ভাগ করতে পারি। যেমন (১) পূর্বাঞ্চল বা পূর্ববঙ্গ (২) উত্তরাঞ্চল বা উত্তরবঙ্গ (৩) পশ্চিমাঞ্চল বা মালভূমি অঞ্চল (৪) দক্ষিণাঞ্চল বা দক্ষিণবঙ্গ। এদের মধ্যে পূর্ববঙ্গের মূল ধারাটি ভাটিয়ালি, তা ছাড়াও সারি, জারি, ধামাইল, বিয়ের গান, মুর্শিদি, মারফতি, পালাগান ইত্যাদি। তবে পূর্ববঙ্গের সব গানের মধ্যে মূলত ভাটিয়ালি সুরের প্রাধান্য। উত্তরবঙ্গের প্রধান ধারাটি ভাওয়াইয়া।

এ ছাড়াও এই অঞ্চলে আমরা পাই চটকা, ক্ষিরােল, দীঘলনাশা, জাগগান, মনসার গান, রাজবংশী সম্প্রদায়ের নিজস্ব কিছু আচার অনুষ্ঠানমূলক গান, পশ্চিমাঞ্চল বা মালভূমি, অঞ্চলের গানের মূলধারাটি ঝুমুর। তা ছাড়াও ভাদু, টুসু, রাঢ়ের বাউল, কুর্মিগান, হাপু গান, ছড়া গান ইত্যাদির প্রচলন আছে। আর দক্ষিণবঙ্গের ধারাগুলির মধ্যে মলধারাটি বনবিবির গান।

তা ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণরায়ের গান, দাশুরায়ের পান, অষ্টক গান, দক্ষিণবঙ্গের ভাটিয়ালি গান ইত্যাদি। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যভাগে মুরশিদাবাদ অঞ্চলে আলকাপ, বােলান গানের চল আছে। অঞ্চলভেদে লােকগানগুলি পৃথক হলেও এগুলির মধ্যে এক সর্বজনীন আবেদন আছে। যেমন- ঝুমুর, ভাওয়াইয়া, ঘাটু পৃথক অঞ্চলের গান হলেও এদের প্রত্যেকের বিষয়বস্তু প্রেম।

ভাওয়াইয়া উত্তরবঙ্গের আঞ্চলিক গান। বাংলাদেশের রংপুর, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার ও আসামের গােয়ালপাড়া ভাওয়াইয়া গানের প্রকৃত অঞ্চল। এই গানগুলিতে স্থানীয় সংস্কৃতি, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের কর্মক্ষেত্র ও পারিবারিক ঘটনাবলির পরিচয় পাওয়া যায়। রাজবংশীরা এই গানের ধারক ও বাহক। এই গানের শ্রেষ্ঠ শিল্পী আব্বাসউদ্দিন। গানের বিষয় মূলত প্রেম। নদী-নৌকা মাঝিকেন্দ্রিক ভাটিয়ালি গান মূলত পূর্ববঙ্গের গান। এ গানের বিষয়বস্তু লৌকিক ও আধ্যাত্মিক প্রেম।

এটি অলস মুহূর্তের গান, তাই এর সুর ও লয় বিলম্বিত। বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার প্রায় নেই। সারি গানও মাঝিদের গান। তারা দাঁড় টানার সময় সারিগান গায়। প্রেমের সঙ্গে যুক্ত বলে এই গানের গতি প্রবাহ বিচিত্রমুখী। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম সীমান্তজুড়ে ঝুমুর গানের চল। এটি মূলত প্রেমসংগীত। এর সুর সহজসরল। বাংলা দেশের লােকায়ত সম্প্রদায় বাউলরা তাদের গানের মাধ্যমে প্রচার করেছেন মানবতার বাণী। মানবাত্মাকে জানার মধ্যে দিয়ে পরমাত্মাকে জানা, সেই পরমে লীন হয়ে যাওয়া বা আধ্যাত্মিক প্রেমই বাউল গানের মূল উপজীব্য বিষয়। লালন সাঁই ছিলেন এ জাতীয় গানের প্রধান গীতিকার।

 

আমিতো লাজে মরি কিজে করি

 

আমিতো লাজে মরি কিজে করি [ Ami Laze Mori Kije Kori ] নিয়ে কভার ঃ

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment