![আল্লাহ বলো মনরে পাখি [ Allah Bolo Mon Re Pakhi ] 1 আল্লাহ বলো মনরে পাখি](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_221,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2021/09/Derivative-of-Lalon-Source-Md.-Saiful-Aziz-Shamseer-Wikimedia-Commons-CC-BY-SA-4.0-Public-Domain-221x300.jpg)
“আল্লাহ বলো মনরে পাখি” গানটি লিখেছেন বাউল লালন শাহ্ । লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
আল্লাহ বলো মনরে পাখি [ Allah Bolo Mon Re Pakhi ]
গীতিকারঃ লালন শাহ্
আল্লাহ বলো মনরে পাখি [ Allah Bolo Mon Re Pakhi ]
আল্লাহ বলো মন রে পাখী।
ভবে কেউ কারো নয় দুঃখের দুখী।।
ভুলো না রে ভব ভ্রান্ত কাজে
আখেরে এসব কান্ড মিছে।
মন রে আসতে একা যেতে একা
![আল্লাহ বলো মনরে পাখি [ Allah Bolo Mon Re Pakhi ] 2 আল্লাহ বলো মনরে পাখি](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_168,h_242/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/1449759132_3-2-207x300.jpg)
এ ভব পিরিতের ফল আছে কি।।
হওয়া বন্ধ হলে সুবাদ কিছুই নাই
বাড়ির বাহির করেন সবাই।
মন তোর কেবা আপন পর কে তখন
দেখে শুনে খেদে ঝরে আঁখি।।
গোরের কিনারে যখন লয়ে যায়
কাঁদিয়ে সবাই প্রাণ ত্যাজতে চায়।
ফকির লালন বলে,
কারো গোরে কেউ না যায়
থাকতে হয় একাকি।।
লালন শাহঃ
![আল্লাহ বলো মনরে পাখি [ Allah Bolo Mon Re Pakhi ] 3 আল্লাহ বলো মনরে পাখি](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_215,h_252/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/LalanShah.jpg)
আল্লাহ বলো মনরে পাখি গানের গীতিকার লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে।
লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার ছেউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তার শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তার শিষ্যরা তাকে “সাঁই” বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে আখড়ায় একটি ভান্ডারা (মহোৎসব) আয়োজন করতেন। যেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হত।
১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুনঃ