ইলা মজুমদার একজন বাংলাদেশী শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী ছিলেন। সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী তাকে সম্মাননা প্রদান করে। তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতকার বারীণ মজুমদারের স্ত্রী ছিলেনএবং এসময়ের পপ তারকা বাপ্পা মজুমদারের মা।
প্রাথমিক এবং কর্মজীবন
ইলা মজুমদার ১৯৪১ সালে পাবনায় এক সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংগীতজ্ঞ বারীণ মজুমদারের স্ত্রী।১৯৫৪ সাল থেকে তিনি বারীণ মজুমদারের নিকট সংগীত বিষয়ে তালিম নেন। পরে ১৯৬০ সালে তিনি বারীণ মজুমদারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
তিনি ১৯৬১ সালে তার মাস্টার্স দর্শনশাস্ত্র সম্পন্ন করেন।১৯৮১ সাল থেকে প্রায় ২২ বছর ঢাকার উইল্স লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেন। দেশের প্রথম সঙ্গীত মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ওস্তাদ বারীণ মজুমদারের সঙ্গে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কাজ করে দীর্ঘ ১৫ বছর।
ইলা মজুমদার দীর্ঘদিন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ইলা মজুমদার সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, সঙ্গীত সুরকার পার্থ শারোতি মজুমদার এবং ময়নাম শিল্পী পার্থ প্রতিম মজুমদারের মা ছিলেন।তার আরেক ছেলে অপূর্ব মজুমদারও সঙ্গীতের চর্চা করেন।
গান ও শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি লেখালেখির কাজ করেছেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর বেশকিছু লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: স্মৃতিতে শ্রুতিতে বারীণ মজুমদার, দিনগুলি মোর, সংগীতের তত্ত্বকথা। বারীণ মজুমদার কর্তৃক ‘মণিহার সঙ্গীত একাডেমী’ প্রতিষ্ঠায় তিনি প্রধান প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন।শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুরস্কার জিতেছেন ইলা মজুমদার।
সম্মাননা
ধ্রপদী সংগীতশিল্পী ইলা মজুমদার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সংগীত চর্চা অব্যাহত রেখেছেন। সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী থেকে গুনীজন সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাছাড়া ১৯৫৮ সালে তিনি স্বর্ণপদকে ভূষিত হন।
মৃত্যু
তিনি ২০১১ সালের ৩ মে ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও দেখুনঃ