ইস্কুল খুইলাছেরে মাওলা [ School khuilase Re Moula ]
“ইস্কুল খুইলাছেরে মাওলা” গানটি লিখেছেন রমেশ শীল তাকে কবিয়াল রমেশ শীল বা রমেশ মাইজভান্ডারী নামেও ডাকা হয় । তিনি বাংলা কবিগানের অন্যতম রূপকার। কবিগানের লোকায়ত ঐতিহ্যের সাথে আধুনিক সমাজ সচেতনতার সার্থক মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
ইস্কুল খুইলাছেরে মাওলা [ School khuilase Re Moula ]
গীতিকারঃ রমেশ শীল
সুরকারঃ রমেশ শীল
ইস্কুল খুইলাছেরে মাওলা [ School khuilase Re Moula ]
কাগজ, কলম, দোয়াত কালির কি দরকার আছে
রমেশ শীলঃ
রমেশ শীল কবিগানের লোকায়ত ঐতিহ্যের সাথে আধুনিক সমাজ সচেতনতার সার্থক মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তিনি ছিলেন মাইজভান্ডারী গানের কিংবদন্তি সাধক। জনপ্রিয় এই গণসঙ্গীত শিল্পী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনে এবং সেই সাথে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন পরবর্তী নুরুল আমিন বিরোধী আন্দোলনে তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নেন।তিনি ১৮৭৭ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের বোয়ালখালি থানার অন্তর্গত গোমদন্ডী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম চন্ডীচরণ শীল। চন্ডীচরণ শীল ছিলেন পেশাতে নাপিত ও কবিরাজ।
প্রথম দিকে প্রথাগত কবিয়ালদের মত রমেশ শীল পুরাণ ও কিংবদন্তি নির্ভর গান বাধতেন। তখন তার গানের বিষয় ছিল নারী-পুরুষ, সত্য-মিথ্যা, গুরু-শিষ্য, সাধু-গেরস্থ ইত্যাদি কেন্দ্রিক। পরবর্তি কালে সমাজতান্ত্রিক আদর্শে অনুপ্রাণিত কবি প্রবলভাবে সমাজ সচেতন হয়ে ওঠেন। কবিগানের বিষয়বস্তুতে আসে আমুল পরিবর্তন। যুদ্ধ-শান্তি, চাষী-মযুদদার, মহাজন-খাতক, স্বৈরতন্ত্র-গনতন্ত্র, এসব হয়ে যায় কবিগানের উপজীব্য। তিনি মাইজভান্ডারী তরিকার আধ্যাত্মিক গানের অন্যতম রূপকার ছিলেন ।
তিনি এপ্রিল ৬, ১৯৬৭ সালে সকলকে ছেড়ে মৃতুর দেশে চলে যান।
আরও দেখুনঃ