উমা খান হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী মহিলা প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পী।উমা খান বাংলাদেশ এর প্রথিতযশা একজন সংগীত শিল্পী,স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন কন্ঠযোদ্ধা হিসেবে সকলের কাছে সর্বাধিক পরিচিত। ২০০২ সালে তিনি হাছন রাজা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ মহিলা প্লেব্যাক সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
Table of Contents
প্রারম্ভিক জীবন
উমা চট্টগ্রামের এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ভাই প্রবাল চৌধুরী ও বোন কল্যাণী ঘোষ। তারা দুজনেই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ছিলেন।দেশ স্বাধীন হবার পর প্রথম যে রঙ্গিন চলচ্চিত্র হয়েছিল তাতে একটি গান গেয়েছিলেন তিনি
ছোটবেলা থেকে চট্টগ্রাম বেতারে গান করতেন উমা খান। তবে তার মা চাইতেন না চলচ্চিত্রে গান করুক তার মেয়ে। ভাই-বোনের উৎসাহে চলচ্চিত্রে লুকিয়ে গান করতে আসেন তিনি। চলচ্চিত্রে গান করা ছাড়া প্রযোজনাও করা হয়েছে তার। বেশ কিছু গান গেয়েছেন ভারতীয় শিল্পীদের সাথেও।
কর্মজীবন
জন্ম ১৯৫৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চট্রগ্রামের রহমতগঞ্জে। উমা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কনিষ্ঠতম শিল্পী ছিলেন। ১৯৭১ সালে এই বেতার কেন্দ্রের পঞ্চাশের অধিক গানে কণ্ঠ দেন। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম রঙিন চলচ্চিত্র বাদশায় একটি গানে তিনি কণ্ঠ দেন।
প্রথম চলচিত্রে “বাদশা”ছবিতে,সহশিল্পী তার আপন সহোদর প্রবাল চৌধুরী,প্রথম গানেই সবার কাছে আলাদা একটা গ্রহণযোগ্যতা পান,বাংলা চলচিত্রে নব্বই দশকের শুরু পর্যন্ত অনেক ছবির গানে কন্ঠ দেন,পরে বেশ কয়েক বছর দেশের বাইরে অবস্থানের কারনে সিনেমার গানে অনুপস্থিত ছিলেন,কিন্তু নব্বই দশকের মাঝামাঝি পুনরায় দেশে এসে সিনেমার গানে আবার নিয়মিত হন,রেডিও টেলিভিশন এও তার উপস্থিতি আলাদা মাত্রা যোগ করে,প্রযোজিকা হিসেবেও তিনি সফল,বেশকয়েকটি ছবিও প্রযোজনা করেছেন এবং ছবিগুলোও ব্যবসা সফলতা পায়।
ব্যক্তিগত জীবন
উমা ১৯৮৬ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি অভিনেতা হেলাল খানকে বিয়ে করেন।
পুরস্কার
২০০৫ সালে নিজের প্রযোজিত ছবি “হাসন রাজা”য় গান গেয়ে শ্রেষ্ঠ কন্ঠশিল্পীর জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
আরও দেখুনঃ