এই মিনতি করি লিরিক্স। এই গানটির রচয়িতা উস্তাদ শাহ আবদুল-করিম। শাহ আবদুল-করিমের জন্ম ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬। তিন একজন বাংলাদেশী কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক। তিনি বাউল সঙ্গীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি পাঁচশো-এর উপরে সংগীত রচনা করেছেন। বাংলা সঙ্গীতে তাঁকে “বাউল সম্রাট” হিসাবে সম্বোধন করা হয়। তিনি বাংলা সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০১ সালে একুশে পদক পুরস্কারে ভূষিত হন।
আমি এই মিনতি করি লিরিক্স | Ami Ei Minoti Kori Re lyrics | Shah Abdul Karim
গানঃ আমি এই মিনতি করি রে
শিল্পীঃ শাহ্ আব্দুল করিম
আমি এই মিনতি করি লিরিক্স
আমি এই মিনতি করি রে এই মিনতি করি রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
তুমি বিনে আকুল পরাণ থাকতে চায় না ঘরে রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
সাগরে ভাসাইয়া কুল-মান
তোমারে সঁপিয়া দিলাম আমার দেহ-মন-প্রাণ
সর্বস্ব ধন করিলাম দান তোমার চরণের তরে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
আমারে ছাড়িয়া যদি যাও
প্রতিজ্ঞা করিয়া বলো আমার মাথা খাও
তুমি যদি আমায় কান্দাও
তোমার কান্দন পরে রে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
কুল-মান গেলে ক্ষতি নাই আমার
তুমি বিনে প্রাণ বাঁচেনা কি করিব আর
তোমার প্রেম-সাগরে
প্রেম-সাগরে তোমার করিম যেন ডুবে মরে
সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে
উস্তাদ শাহ আবদুল-করিম (১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯১৬ – ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯)হচ্ছেন একজন বাংলাদেশী কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক। তিনি বাউল সঙ্গীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কর্মজীবনে তিনি পাঁচশো-এর উপরে সংগীত রচনা করেছেন। বাংলা সঙ্গীতে তাঁকে “বাউল সম্রাট” হিসাবে সম্বোধন করা হয়। তিনি বাংলা সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০০১ সালে একুশে পদক পুরস্কারে ভূষিত হন
প্রাথমিক জীবন
শাহ আবদুল করিম ইব্রাহিম আলী ও নাইওরজানের ঘরে ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুব ছোটবেলায় তার গুরু বাউল শাহ ইব্রাহিম মাস্তান বকশ থেকে সঙ্গীতের প্রাথমিক শিক্ষা নেন। তিনি আফতাব-উন-নেসা কে বিয়ে করেন, যাকে তিনি সরলা নামে ডাকতেন। তিনি ১৯৫৭ সাল থেকে তার জন্মগ্রামের পাশে উজানধল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।
ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা বলে সকল অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরূদ্ধে। তিনি তার গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউলসম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ এর দর্শন থেকে। যদিও দারিদ্র তাকে বাধ্য করে কৃষিকাজে তার শ্রম ব্যয় করতে কিন্তু কোন কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তিনি বাউলগানের দীক্ষা লাভ করেছেন সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে। তিনি শরীয়তী, মারফতি, দেহতত্ত্ব, গণসংগীতসহ বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন।