” এনেছে এক নবীন গোরা “ গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন, বাউল সম্রাট লালন শাহ্ । লালনের গান লালনগীতি বা লালন সংগীত হিসেবে পরিচিত। । লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি, যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
![এনেছে এক নবীন গোরা [ Eneche Ek Nobin Gora ] 1 এনেছে এক নবীন গোরা](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_300,h_168/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/images-4-e1645267623781.jpg)
এনেছে এক নবীন গোরা [ Eneche Ek Nobin Gora ]
গীতিকারঃ লালন শাহ্
সুরকারঃ লালন শাহ্
এনেছে এক নবীন গোরা [ Eneche Ek Nobin Gora ]
এনেছে এক নবীন গোরা
নতুন আইন নদিয়াতে।
বেদ পুরাণ সব দিচ্ছে দুষে
![এনেছে এক নবীন গোরা [ Eneche Ek Nobin Gora ] 2 এনেছে এক নবীন গোরা](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_161,h_229/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/Untitled-7-9-e1644387765715-211x300.jpg)
সে আইনের বিচার মতে ॥
সাতবার খেয়ে একবার স্নান
নাই পূজা তার পাপ পূণ্যি জ্ঞান
অসাধ্যের সাধ্য বিধান
শিখাচ্ছে সব ঘাটে পথে ॥
করে না সে জাতের বিচার
কেবল শুদ্ধ প্রেমের আচার
সত্য মিথ্যা জানব এবার
সাঙ্গ পাঙ্গ জাত অজাতে ॥
পেয়ে ঈশ্বরের রচনা
তাই বলে সে বেদ মানে না
লালন কয় ভেদ-উপাসনা
কর দেখি মন দোষ কি তাতে ॥
লালন শাহ্ঃ
![এনেছে এক নবীন গোরা [ Eneche Ek Nobin Gora ] 3 এনেছে এক নবীন গোরা](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_225,h_300/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/images-16-225x300.jpg)
লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।[৩] তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন।
তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে। লালনের কোনো গানে তার জীবন সম্পর্কে কোনো তথ্য তিনি রেখে যাননি, তবে কয়েকটি গানে তিনি নিজেকে “লালন ফকির” হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। সূত্রে পাওয়া যায় লালন ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশের) ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হারিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১৫] কোনো কোনো লালন গবেষক মনে করেন, লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার চাপড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাড়ারা গ্রামে জন্মেছিলেন। এই মতের সাথেও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেন।
লালনের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে গবেষকদের মাঝে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে, যা তার জীবদ্দশায়ও বিদ্যমান ছিল।
১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও দেখুনঃ