এলাহি আল মিন গো আল্লাহ্ [ Elahi Al min Go Allah ]
লেবেলঃ স্টুডিও গুরুকুল [ Studio Gurukul ]
প্রযোজনাঃ সঙ্গীত গুরুকুল [ Music Gurukul ]
কাভারঃ ফারুক নূরী [ Faruq Noori ]
এলাহি আল মিন গো আল্লাহ্
এলাহি আলমিন গো আল্লাহ বাদশাহ আলমপনা তুমি।
ডুবায়ে ভাসাইতে পার
ভাসায়ে কিনার দাও কারো।
রাখো মারো হাত তোমার
তাইতে তোমায় ডাকি আমি।।
নূহ নামের এক নবীরে, ভাসালে অকুল পাথারে
আবার তারে মেহের করে, আপনি লাগাও কিনারে।
জাহের আছে ত্রিসংসারে
আমায় দয়া কর স্বামী।।
নিজাম নামের বাটপার সেতো, পাপেতে ডুবিয়া রইতো
তার মনে সুমতি দিলে, কুমতি তার গেল চলে।
আউলিয়া নাম খাতায় লিখলে, জানা গেল সেই রহমই।।
নবি না মানে যারা, মোয়াহেদ কাফের তারা
সেই মোয়াহেদ দায়মাল হবে, বেহিসাব দোজখে যাবে।
আবার তারা খালাস পাবে
লালন কয় মোর কি হয় জানি।।
লালন শাহ :
লালন (১৭ অক্টোবর ১৭৭৪ – ১৭ অক্টোবর ১৮৯০) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক ফকির সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন। লালনকে বাউল গানের অগ্রদূতদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তার গান উনিশ শতকে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।
এলাহি আল মিন গো আল্লাহ্ [ Elahi Al min Go Allah ] নিয়ে কভার ঃ
আরও দেখুনঃ