ও চোখে কাজল এঁকো না [O chokhe kajol ekona] | সুবীর নন্দী

ও চোখে কাজল এঁকো না [O chokhe kajol ekona] | সুবীর নন্দী

ও চোখে কাজল এঁকো না [O chokhe kajol ekona]
সুবীর নন্দী
গানটি গেয়েছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দী । সুবীর নন্দী ছিলেন একজন বাংলাদেশিসংগীতশিল্পী। তিনি মূলত চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন। চলচ্চিত্রের সংগীতে তাঁর অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করেন।

ও চোখে কাজল এঁকো না [O chokhe kajol ekona] | সুবীর নন্দী

গীতিকারঃ সুবীর নন্দী 

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ সুবীর নন্দী 

ও চোখে কাজল এঁকো না লিরিক্স :

ও চোখে কাজল এঁকো না না না….
কাজলেরই আড়ালে রূপ ঢেকে রেখোনা।

ও চোখে কাজল এঁকো না
সুবীর নন্দী

কাগজের ফুল সে তো কত সাজে সেজে থাকে
ও ফুলে গন্ধ কোন নেই, ও ফুলে ভালোবাসা নেই।
তুমি তো নও কাগজেরই
বাহারি সাজ আনো সে ফুল
তুমি তো আমারি চেনা!
নিজেকে ঢেকে রেখো না…..।।

আকাশের চাঁদ সে তো জ্যোছনায় ভিজে থাকে
ও চাঁদের নিজের আলো নেই
ও চাঁদের নিজের ভাষা নেই
তুমি তো নও আকাশেরি
সাজানো ঐ রূপালী চাঁদ
তুমি তো আমারি চেনা।
নিজেকে ঢেকে রেখো না….।।

সুবীর নন্দীঃ 

ও চোখে কাজল এঁকো না [O chokhe kajol ekona]
সুবীর নন্দী
সুবীর নন্দী ছিলেন একজন বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী । তিনি মহানায়ক (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও মহুয়া সুন্দরী (২০১৫) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৯ সালে তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

সুবীর নন্দীর ডাক নাম বাচ্চু। সুবীর নন্দী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায় নন্দী পাড়া নামক মহল্লায় এক কায়স্থ সম্ভ্রান্ত সংগীত পরিবারে ১৯ নভেম্বর ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মামার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাদেআলিশা গ্রামে। তাঁর পিতা সুধাংশু নন্দী ছিলেন একজন চিকিৎসক ও সংগীতপ্রেমী। তাঁর মা পুতুল রানীও গান গাইতেন কিন্তু রেডিও বা পেশদারিত্বে আসেন নি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিতে শুরু করেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে। তবে সংগীতে তাঁর হাতেখড়ি মায়ের কাছেই।

১৯৬৩ সালে তৃতীয় শ্রেণী থেকেই তিনি গান করতেন। এরপর ১৯৬৭ সালে তিনি সিলেট বেতারে গান করেন। তাঁর গানের ওস্তাদ ছিলেন গুরু বাবর আলী খান। লোকগানে ছিলেন বিদিত লাল দাস সুবীর নন্দী গানের জগতে আসেন ১৯৭০ সালে ঢাকা রেডিওতে প্রথম রেকর্ডিং এর মধ্য দিয়ে। প্রথম গান ‘যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়’ -এর গীত রচনা করেন মোহাম্মদ মুজাক্কের এবং সুরারোপ করেন ওস্তাদ মীর কাসেম। ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রে গেয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।

১৪ই এপ্রিল তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।  তিনি ২০১৯ সালের ৭ই মে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment