Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

কথা হয়েছিল (1982) [Kotha hoyesilo] | ত্রয়ী | আশা ভোঁসলে

কথা হয়েছিল (1982) [Kotha hoyesilo] | ত্রয়ী | আশা ভোঁসলে

ত্রয়ী

“কথা হয়েছিল” গানটি ভারতীয় বাংলা চলতিত্র ত্রয়ী তে গাওয়া হয়েছিল । গানটি গেয়েছেন সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে । আশা ভোঁসলেএকজন ভারতীয় গায়িকা। মূলত তিনি হিন্দি সিনেমার নেপথ্য সঙ্গীত গাওয়ার জন্য বিখ্যাত। আশা ভোঁসলে ভারতের জনপ্রিয়তম গায়িকাদের মধ্যে একজন।

কথা হয়েছিল (1982) [Kotha hoyesilo] | ত্রয়ী | আশা ভোঁসলে

গীতিকারঃ আশা ভোঁসলে

প্রথম রেকর্ডের কন্থশিল্পীঃ স্বপনকুমার চক্রবর্তী

কথা হয়েছিল লিরিক্স :

কথা হয়েছিল তবু কথা হলো না
আজ সবাই এসেছে
শুধু তুমি এলে না
শুধু তুমি এলে না

কথা হয়েছিল তবু কথা হলো না
আজ সবাই এসেছে
শুধু তুমি এলে না
শুধু তুমি এলে না

অনেক তো খুঁজেছি
না পেয়ে তোমার দেখা
এত ভিড় তবু আমি
আজ কেনো একা

অনেক তো খুঁজেছি
না পেয়ে তোমার দেখা
এত ভিড় তবু আমি
আজ কেনো একা

পথের ঠিকানা
বুঝি খুঁজে পেলে না
আজ সবাই এসেছে
শুধু তুমি এলে না
শুধু তুমি এলে না

আসে যে সে তো যাবেই
ধরে রাখা যাবে না
মরীচিকা সে তো দূরে
কাছে তাকে পাবে না

আসে যে সে তো যাবেই
ধরে রাখা যাবে না
মরীচিকা সে তো দূরে
কাছে তাকে পাবে না

আমার অপরাধ
তুমি বলে গেলে না
আজ সবাই এসেছে
শুধু তুমি এলে না
শুধু তুমি এলে না

আশা ভোঁসলে

আশা ভোসলে
আশা ভোঁসলে একজন ভারতীয় গায়িকা। ১৯৪৩ সাল থেকে আরম্ভ করে তিনি ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে গান গেয়ে চলেছেন। তিনি তাঁর সঙ্গীত জীবনে মোট ৯২৫টিরও বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন।আশা ভোঁসলে ১৯৩৩ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর সঙ্গিল রাজ্যেরসঙ্গিল জেলার গৌড়ে এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি ভাষী গোমন্থক মারাঠা সমাজের সদস্য এবং মারাঠি সঙ্গীত মঞ্চের একজন অভিনেতা ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।

তিনি ও তাঁর বড় বোন লতা মঙ্গেশকর তাঁদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য চলচ্চিত্রে গান গাওয়া ও অভিনয় শুরু করেন। তার গাওয়া প্রথম গান হল মারাঠি ভাষার মাঝা বল (১৯৪৩) চলচ্চিত্রে “চল চল নব বল“। গানটির সুরায়োজন করেছিলেন দত্ত দবজেকর। তাঁর হিন্দি চলচ্চিত্রের গানে অভিষেক হয় হংসরাজ বেহলের চুনারিয়া (১৯৪৮)-এ “সাবন আয়া” গানে কণ্ঠ প্রদানের মাধ্যমে। সঙ্গীতজীবনে দীর্ঘ ৫ দশক সেরা শিল্পীর দৌড়ে ছিলেন এই দুই বোন।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

১৯৫৭ সালে নয়া দৌড়, আশা, নবরঙ্গ, মাদার ইন্ডিয়া, দিল দেকে দেখো, পেয়িং গেস্ট প্রমুখ চলচ্চিত্রে একেরপর এক হিট গান গেয়ে লতাকে হটিয়ে রাতারাতি বলিউডের শীর্ষস্থান পেয়ে যান আশা । হাওড়া ব্রিজ, কাগজ কে ফুল, ফাগুন প্রমুখ ছবির মাধ্যমে জয়যাত্রা অব্যাহত রাখেন।

২০০১ সালে তিনি ‘ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ পান। 

সপন চক্রবর্তীঃ

সপন চক্রবর্তী
সপন চক্রবর্তী হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিত্রের একজন সঙ্গীত রচয়িতা ছিলেন। তার প্রথম দিকের কর্মজীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না কিন্তু তিনি যখন আরডি বর্মনের দলে সহকারী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তখন তিনি বিশিষ্ট হয়ে ওঠেন। তিনি আরডি বর্মনের দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন এবং গান গাওয়া এমনকি গান লেখাতেও তার হাত চেষ্টা করেন। সপন চক্রবর্তী আরডি বর্মনের সাথে প্রায় আরডি যুগের শেষ অবধি কাজ করেছেন।

সপন নিজে গায়কের পাশাপাশি খুব ভালো সুরকার ছিলেন। অন্য যে গুণটি এখানে উল্লেখ করা দরকার তা হল তিনি একজন ভালো গীতিকার ছিলেন এবং আর.ডি.বর্মনের অনেক বাংলা পূজা সংখ্যা লিখেছেন। তিনি নিজে ৫টি হিন্দি ও ১৫টি বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত রচনা করেছেন।

প্লেব্যাক গায়ক হিসাবে তার কিছু স্মরণীয় গান হল বালিকা বধুর আও রে আও খেলো, গোলমাল থেকে রাহুল দেব বর্মনের সাথে গোলমাল হ্যায় ভাই গোলমাল হ্যায়, রত্নদীপের ভূপিন্দর সিংয়ের সাথে হো সাজান আয়ে হো, খুবসুরাত থেকে রেখার সাথে কায়দা কায়দা আখির ফ্যাদা, মেরে। কিতাব থেকে সাথ চলে না, আঙ্গুর থেকে প্রীতম আঁ মিলো, শৌকিন থেকে হাম তুম অর ইয়ে নাশা নাশা, নারম গরম থেকে রাহুল দেব বর্মনের সঙ্গে নারম নারম রাত মে এবং সাত্তে পে সত্তা থেকে প্যার হামেন কিস মোড় পে

সপন চক্রবর্তী ২৩শে আগস্ট ১৯৯৫ সালে মারা যান । 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version