কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে [Ki name deke bolbo tomake]

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
শ্যামল মিত্র

“কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে” গানটি গেয়েছেন  পশ্চিম বাংলার এক প্রখ্যাত গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী শ্যামল মিত্র । এবং গানটি লিখেছেন বাঙালি কণ্ঠশিল্পী সুধীন দাশগুপ্ত । 

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে [Ki name deke bolbo tomake]

গীতিকারঃ  সুধীন দাশগুপ্ত

সুরকারঃ সুধীন দাশগুপ্ত

প্রথম রেকর্ডের কন্থশিল্পীঃ শ্যামল মিত্র 

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে [Ki name deke bolbo tomake]

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখে,
কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখে।

আমি যে মাতাল হাওয়ারই মত হয়ে
যেতে যেতে পায়ে পায়ে গেছি জড়িয়ে,
আমি যে মাতাল হাওয়ারই মত হয়ে
যেতে যেতে পায়ে পায়ে গেছি জড়িয়ে,
কি করি ভেবে যে মরি বলবে কি লোকে
মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখে,
কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখে।

পালাতে পারিনি আমি যে দিশাহারা
দুটি চোখ যেন আমায় দিচ্ছে পাহারা,
পালাতে পারি নি আমি যে দিশাহারা
দুটি চোখ যেন আমায় দিচ্ছে পাহারা,
ধরা পড়ে গেছি আমি নিজেরই কাছে
জানি না তোমার মনেও কি এত প্রেম আছে,
ধরা পড়ে গেছি আমি নিজেরই কাছে
জানি না তোমার মনেও কি এত প্রেম আছে,
সত্যি যদি হয় বলুক যা বলছে নিন্দুকে
মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখে,
কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখে,
কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
মন্দ করেছে আমাকে ঐ দু’টি চোখে।

সুধীন দাশগুপ্তঃ

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
সুধীন দাশগুপ্ত

সুধীন দাশগুপ্ত একজন খ্যাতিমান বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক। তিনি হিন্দি, অসমীয়া এবং ওড়িয়া প্রভৃতি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় কাজ করেছিলেন। তার রচনা ও পরিচালনায় বাংলা আধুনিক গানে স্পন্দনের সৃষ্টি করে। ১৯২৯ সালের ৯ই অক্টোবর সুধীন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে, সুধীন দাশগুপ্ত নামেই সমধিক পরিচিতি পান। তিনি দার্জিলিংয়ে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। তার পৈতৃক বাড়ি ছিল বাংলাদেশের যশোর জেলা ‘কালিয়া’ গ্রামে। তার বাবা মহেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ।

সুধীন দাশগুপ্ত প্রথম থেকেই সংগীতে দক্ষ ছিলেন। তিনি সমান দক্ষতার সাথে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন, যেমন সেতার, সরোদ, হারমোনিয়াম, পিয়ানো, ম্যান্ডোলিন, পিকলু, গিটার, বেহালা, এসরাজ ইত্যাদি। এ ছাড়া তবলা ও ড্রামে পারদর্শী ছিলেন।  সুধীন দাশগুপ্ত প্রমূখ বিখ্যাত সংগীত পরিচালক এবং গীতিকারদের অবদানের মাধ্যমে বাংলা সংগীত সমৃদ্ধ হয়েছিল।১৯৫০ থেকে ১৯৭০-এর দশকগুলি বাংলা আধুনিক গানের পাশাপাশি বাংলা মৌলিক গানের স্বর্ণযুগ বলে বিবেচিত হয়।

সুধীন দাশগুপ্ত অনেক গানের কথা লিখেছেন। তার গানের অগাধ জনপ্রিয়তা নিজেই তার গানের কাব্যিক মূল্যবোধগুলির সাথে তাদের সাহিত্যের মূল্যবোধের কথা বলে।

তিনি ১৯৮২ সালে ১০ জানুয়ারি ৫২ বছর বয়সে মারা যান । 

শ্যামল মিত্রঃ

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে
শ্যামল মিত্র

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে গানের গায়ক শ্যামল মিত্র  পশ্চিম বাংলার এক প্রখ্যাত গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কদের অন্যতম। তার অনেক গান আজও বাঙালি শ্রোতাদের কাছে আদৃত।শ্যামল মিত্রের জন্ম বৃটিশ ভারতের অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার নৈহাটিতে। অবশ্য তাদের আদি নিবাস ছিল হুগলি জেলার শিয়াখালার নিকটবর্তী পাতুল গ্রামে। পিতা ছিলেন নৈহাটির খ্যাতনামা চিকিৎসক সাধনকুমার মিত্র।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে [Ki name deke bolbo tomake]
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ছোটবেলা থেকেই শ্যামল মিত্র খুব গান ভালবাসতেন। মাতা প্রতিভাময়ী এবং স্থানীয় গায়ক মৃণালকান্তি ঘোষের অনুপ্রেরণায় সঙ্গীতেই আকৃষ্ট হন এবং সেই মতো সঙ্গীত শিক্ষা চলতে থাকে। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে শ্যামল মিত্র প্রথম রেকর্ড করেন সুধীরলাল চক্রবর্তীর সুরে। বিখ্যাত সুরকার সুবল দাশগুপ্ত, অনুপম ঘটক, হিমাংশু দত্ত, রবিন চট্টোপাধ্যায়ের সুরে অনেক গান গেয়েছেন। তার রেকর্ডের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার।

এই প্রখ্যাত গায়ক ১৫ নভেম্বর ১৯৮৭ সালে মৃতুবরন করেন । 

 

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment