আবদুল কুদ্দুস বয়াতি একজন বাংলাদেশি লোকসঙ্গীত শিল্পী। তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘লোকসঙ্গীতের মহাতারকা’ বলেও সম্বোধন করা হয়। তিনি ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক নির্মিত বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে গাওয়া ‘এই দিন, দিন না আরো দিন আছে’ শিরোনামে একটি গানের মাধ্যমে পরিচিতি পান। কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবকালীন ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তিনি জাইনা চলেন, মাইনা চলেন গানে অংশ নেন। ‘জাইনা চলেন, মাইনা চলেন’ শিরোনামে গাওয়া গানের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে কাজ করছেন তিনি।
প্রারম্ভিক জীবন
কুদ্দুস বয়াতি ১৯৪৯ সালে ২২ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রাজীবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।বাবা রমজান আলী, মা ফাতেমা বেগম।তার পিতার মাধ্যমে মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন। আর্থিক অনটনে লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে কাজের সন্ধানে ঢাকা চলে আসেন।এ সময় কিছুদিন আফজাল হোসেনের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে চারণ সঙ্গীতের প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয় করেন। বাংলাদেশের জীবন্তকিংবদন্তী পালাকার শিল্পী। গ্রাম-গঞ্জে মহুয়া, মলুয়া, দেওয়ান বাদশা, কাঞ্চন বাদশা, হাতেমতাইসহ অনেক ধরনের পালা গানের মাধ্যমে আসর মাতান তিনি। এছাড়া দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে তিনি সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে মানুষকে গান শুনিয়েছেন।এছাড়া দেশের আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে তিনি সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে মানুষকে গান শুনিয়েছেন।
কর্মজীবন
এখন পর্যন্ত কুদ্দুস বয়াতির দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপণচিত্র, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্রে গান গেয়েছেন।তাঁর পরিচিতি দেশ ছাড়িয়ে ছড়ায় বিদেশেও। এ পর্যন্ত ৪৭টি দেশে গেছেন।এক সময় গানের নিয়মিত থাকলেও বর্তমানে নতুন গান থেকে কিছুটা দুরে আছেন কুদ্দুস বয়াতি। নতুন গানে না থাকলেও তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় স্টেজে। আর গানের পাশাপাশি মডেল হয়েছেন ৪০টির মতো বিজ্ঞাপনে।
অ্যালবাম
- সোনার নূপুর
- আম খায়ো জাম খায়ো তেঁতুল খায়ো না
ব্যক্তিগত জীবন
প্রথম স্ত্রীর নাম রিতা রানী দাস। প্রথম সংসারে আট সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম পাপিয়া আক্তার পিউ। এই সংসারে দুই সন্তানের জনক তিনি।
আরও দেখুনঃ