Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না (1979) [ Kew Kono Din ]

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না
আমজাদ হোসেন

“কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না” গানটি বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র “সুন্দরী” এর মধ্যে গাওয়া হয়েহে । গানটি গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন এবং সৈয়দ আব্দুল হাদী । গানটির গীতিকার আমজাদ হোসেন এবং সুর করেছেন আলাউদ্দীন আলী । 

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না [ Kew Kono Din ]

গীতিকারঃ আমজাদ হোসেন 

সুরকারঃ আলাউদ্দীন আলী

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ সাবিনা ইয়াসমিন এবং সৈয়দ আব্দুল হাদী 

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না [ Kew Kono Din ]

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না
বিনিসূতার মালাখানি
বিনিসূতার মালাখানি
গাঁথা হয়লো না
গাঁথা হয়লো না
ও ও ও
এই জ্বালা যে এমন জ্বালা
যায় না মুখে বলা
বুঝতে গেলেই সোনার অঙ্গ
পুড়ে হবে কালা
ও ও ও
লালন মরল জল পিপাসায়
থাকতে নদী মেঘনা
খাটের কাছে ভরা কলস
তৃষ্ণা মেটে না
কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না

আমজাদ হোসেনঃ

আমজাদ হোসেন

আমজাদ হোসেন ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ছয়টি ভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং এক আয়োজনে পাঁচটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আমজাদ হোসেন ১৯৪২ সালের ১৪ই আগস্ট তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির  জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। লেখালেখির মাধ্যমেই তার সৃজনশীল জীবন শুরু। ছড়া দিয়ে সাহিত্যের অঙ্গণে তার প্রবেশ। তিনি ১৯৬১ সালে তোমার আমার চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রে আগমন করেন। একই বছর মুস্তাফিজ পরিচালিত হারানো দিন ছবিতে অভিনয় করেন। পরিচালক সালাহ্‌উদ্দিন তার রচিত নাটক ধারাপাত অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

তিনি ২০১৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ৭৬ বছর বয়সে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

আলাউদ্দীন আলীঃ

আলাউদ্দিন আলী

আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জাবেদ আলী ও মাতা জোহরা খাতুন। আলাউদ্দিন তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন।

আলাউদ্দিন ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০), কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি ৯ আগস্ট ২০২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন । 

সাবিনা ইয়াসমিনঃ

সাবিনা ইয়াসমিন

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না সাবিনা ইয়াসমিন একজন বাংলাদেশিনেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। সাবিনা শৈশব থেকে গানের তালিম নেওয়া শুরু করেছিলেন। তিনি সাত বছর বয়সে প্রথম মঞ্চানুষ্ঠানে অংশ নেন এবং খেলাঘর নামে একটি বেতার অনুষ্ঠানে ছোটদের গান করতেন। ১৯৬২ সালে নতুন সুর চলচ্চিত্রে রবীন ঘোষের সুরে ছোটদের গানে অংশ নেন। চলচ্চিত্রে পূর্ণ নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ১৯৬৭ সালে আগুন নিয়ে খেলা চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে।

সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লুতফর রহমান ব্রিটিশ রাজের অধীনে সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মাতা বেগম মৌলুদা খাতুন। পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। তার গাওয়া দেশাত্মবোধক গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো”, “সব ক’টা জানালা খুলে দাও না”, “ও আমার বাংলা মা”, “মাঝি নাও ছাড়িয়া দে”, “সুন্দর সুবর্ণ” ও “একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার”।

সৈয়দ আব্দুল হাদীঃ

সৈয়দ আব্দুল হাদী

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না গানের গায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী ১৯৪০ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে উঠেছেন আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কলকাতায়। তবে তার কলেজ জীবন কেটেছে রংপুর আর ঢাকায়।

সৈয়দ আবদুল হাদী দেশাত্ববোধক গানের জন্য জনপ্রিয়। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সঙ্গীত করছেন। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে সৈয়দ আবদুল হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন। সিনেমার নাম ছিল ‘ডাকবাবু’। মো. মনিরুজ্জামানের রচনায় সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে একটি গানের মাধ্যমে সৈয়দ আবদুল হাদীর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু।

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version