কেন দূরে থাকো লিরিক্স [ Keno Dure Thako Lyrics ] – গানটি গেয়েছেন বিখ্যাত সঙ্গিত শিল্পি হেমন্ত মুখোপাধ্যায় [ Hemant Mukherjee ]
![কেন দূরে থাকো লিরিক্স [ Keno Dure Thako Lyrics ] - হেমন্ত মুখোপাধ্যায় [ Hemant Mukherjee ] 1 কেন দূরে থাকো লিরিক্স | হেমন্ত মুখোপাধ্যায়](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_300,h_225/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/03/hqdefault-7-1-300x225.jpg)
কেন দূরে থাকো লিরিক্স
কেন দূরে থাকো, শুধু আড়াল রাখো
কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো ? (x2)
কেন দূরে থাকো ?
মনে হয় তবু বারে বারে
এই বুঝি এলে মোর দ্বারে (x2)
সে মধুর স্বপ্ন ভেঙ্গো নাকো
কেন দূরে থাকো, শুধু আড়াল রাখো
কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো ?
কেন দূরে থাকো ?
ভাবে মাধবী সুরভী তার বিলায়ে
যাবে মধুপের সুরে সুরে মিলায়ে (x2)
তোমারি ধ্যায়ানে ক্ষনে ক্ষনে
কত কথা জাগে মোর মনে (x2)
চোখে মোর ফাগুনের ছবিটি আঁকো
কেন দূরে থাকো, শুধু আড়াল রাখো
কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো
কেন দূরে থাকো ?
![কেন দূরে থাকো লিরিক্স [ Keno Dure Thako Lyrics ] - হেমন্ত মুখোপাধ্যায় [ Hemant Mukherjee ] 2 কেন দূরে থাকো লিরিক্স](https://sp-ao.shortpixel.ai/client/to_auto,q_glossy,ret_img,w_279,h_180/https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/02/download-8.jpg)
Keno Dure Thako Lyrics – Roman
Keno dure thako sudhu aral rakho
Ke tumi, k tumi amay dako
Keno dure thako ..
Mone hoy tobu bare baare
Ei bujhi ele mor daare
Se modhur swapno vengo nako
Bhabe madhobi surobhi taar bilaye
Jabe modhuper shure shure milaye
Tomari dheyane khone khone
Koto kotha jaage mor mone..
Chokhe mor faguner chobiti anko
“হেমন্ত মুখোপাধ্যায় [ Hemant Mukherjee ]” কে নিয়ে বিস্তারিতঃ
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (১৬ জুন ১৯২০ – ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯) একজন কিংবদন্তি বাঙালি কণ্ঠসংগীত শিল্পী, সংগীত পরিচালক এবং প্রযোজক ছিলেন। তিনি হিন্দি সংগীত জগতে হেমন্ত কুমার নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন। তিনি বাংলা, হিন্দি এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন। তিনি রবীন্দ্র সংগীতের সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী ছিলেন। তিনি শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য গায়ক বিভাগে দু-বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
এছাড়াও ফিল্মফেয়ার সহ অসংখ্য দেশি ও বিদেশি পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি উপমহাদেশের সবথেকে শ্রেষ্ঠ একজন শিল্পী ছিলেন, বিভিন্ন ঘরানার গানে তিনি শ্রেষ্ঠ ছিলেন। নানামুখী গানে আর কোন শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সমকক্ষ হতে পারেনি।হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কে বলা হয় সংগীতের ঈশ্বর।
১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে হেমন্ত তার বন্ধু সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের প্রভাবে আকাশবাণীতে তার গান রেকর্ডিং করেন। গানের প্রথম লাইন ছিল ‘আমার গানেতে এলে নবরূপী চিরন্তনী’। হেমন্ত তার প্রারম্ভিক সংগীত কর্মজীবনে পরামর্শদাতা হিসেবে পেয়েছিলেন বাংলা সংগীতজ্ঞ শৈলেশ দত্তগুপ্তকে। প্রথম জীবনে হেমন্ত বাংলার প্রখ্যাত গায়ক পঙ্কজ মল্লিককে অনুসরণ করতেন।
এজন্যে তার ডাকনাম ছিল ‘ছোটো পঙ্কজ’। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে এক দূরদর্শন সাক্ষাৎকারে হেমন্ত উল্লেখ করেছিলেন যে, তিনি উস্তাদ ফৈয়াজ খানের শিষ্য ফণীভূষণ ব্যানার্জির কাছে ধ্রুপদী সংগীতেরও তালিম নিয়েছিলেন, কিন্তু উস্তাদের অসময়ের মৃত্যুতে তার শিক্ষা অসমাপ্ত রয়ে যায়।
১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে কলাম্বিয়ার লেবেলে হেমন্ত তার প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড প্রকাশ করেন। চলচ্চিত্রের বাইরে রেকর্ডের ওই গানগুলো ছিল ‘জানিতে যদি গো তুমি’ এবং ‘বলো গো বলো মোরে’, যেগুলোর কথা নরেশ ভট্টাচার্যের এবং সংগীত শৈলেশ দত্তগুপ্তের।
তার পর থেকে ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রতি বছর গ্রামোফোন কোম্পানি অফ ইন্ডিয়ার (জিসিআই) জন্যে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্রের বাইরে হেমন্তের রেকর্ড প্রকাশিত হোত। তার প্রথম হিন্দি গানগুলো ‘কিতনা দুখ ভুলায়া তুমনে’ এবং ‘ও প্রীত নিভানেওয়ালি’ ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে জিসিআইয়ের কলাম্বিয়া লেবেলেই প্রকাশিত হয়েছিল। ওই গানগুলোর সংগীতকার ছিলেন কমল দাশগুপ্ত; কথা লিখেছিলেন ফৈয়াজ হাসমি।
১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র নিমাই সন্যাস চলচ্চিত্রে হেমন্ত প্রথম গান গেয়েছিলেন। সংগীত দিয়েছিলেন হরিপ্রসন্ন দাস। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে চলচ্চিত্রের বাইরে বাংলা গানে হেমন্ত নিজে প্রথম সুর দিয়েছিলেন ‘কথা কোয়োনাকো শুধু শোনো’ এবং ‘আমার বিরহ আকাশে প্রিয়া’ এই দুটি গানে। এগুলোর কথা লিখেছিলেন অমিয় বাগচি। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে পণ্ডিত অমরনাথের সংগীত পরিচালনায় তিনি ইরাদা (১৯৪৪ চলচ্চিত্র) চলচ্চিত্রে প্রথম হিন্দি গানগুলো গেয়েছিলেন। হেমন্তকে শীর্ষস্থানীয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসেবে ধরা হয়।
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে প্রিয় বান্ধবী বাংলা চলচ্চিত্রে তার প্রথম রবীন্দ্র সংগীত রেকর্ড করা হয়েছিল। গানটা ছিল ‘পথের শেষ কোথায়’। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দেই তিনি কলাম্বিয়া লেবেলের অধীনে চলচ্চিত্রের বাইরে প্রথম রবীন্দ্র সংগীত রেকর্ড করেন। গানগুলো ছিল ‘আমার আর হবে না দেরি’ এবং ‘কেন পান্থ এ চঞ্চলতা’। তার আগে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো/আকাশবাণীতে আমার মল্লিকাবনে রেকর্ড করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রেকর্ডটা বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছে।
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে সংগীত পরিচালক হিসেবে তার প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র ছিল অভিযাত্রী । যদিও ওই সময় অনেক গান রেকর্ড করে হেমন্ত প্রচুর প্রশংসা পেয়েছেন, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি বড়ো বাণিজ্যিক সাফল্য পেয়েছিলেন। বাংলায় তার সমসাময়িক পুরুষ সংগীত শিল্পীরা ছিলেন জগন্ময় মিত্র, রবীন মজুমদর, সত্য চৌধুরী, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য্য, সুধীরলাল চক্রবর্তী, বেচু দত্ত এবং তালাৎ মাহমুদ।
আরও দেখুনঃ