খাঁচার পাখি লিরিক্স [ Khachar Pakhi Lyrics ]
Rabindranath Tagore
নিকিতা গান্ধী । Nikhita Gandhi
নিকিতা গান্ধী একজন ভারতীয় নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী, যিনি পাঁচটি ভিন্ন ভাষার ভারতীয় চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। তিনি তামিল, হিন্দি, তেলুগু, বাংলা এবং কন্নড় ভাষার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি “রাবতা” সিনেমার মূল সঙ্গিত রাবতাতে দীপিকা পাড়ুকোণ এর গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
নিকিতা কলকাতায় বাঙালি এবং পাঞ্জাবি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি ২০১০ সালে দন্তচিকিৎসার উপর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য চেন্নাই চলে যান। তিনি এ আর রহমান এর প্রতিষ্ঠান কে. এম. কলেজ অফ মিউজিক এন্ড টেকনোলজি এর প্রাক্তন ছাত্রী।
নিকিতা প্রথম কাজ করেন এ আর রহমান এর সাথে ইন্দো-জার্মান এক্সচেঞ্জ এ, যেখানে তিন ছয় এর অংশ হিসেবে। জার্মান অরকেস্ট্রায় পরিবেশন করেন।
২০১২ সালে তিনি নজরুল গীতি বিষয়ক এলবাম “কথা” এ কাজ করেন, এর প্রত্যেকটি গান প্রখ্যাত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর লেখা।
খাঁচার পাখি লিরিক্স [ Khachar Pakhi Lyrics ] । Rabindranath Tagore । নিকিতা গান্ধী । Nikhita Gandhi
খাঁচার পাখি লিরিক্স
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
বনের পাখি ছিল বনে
একদা কী করিয়া মিলন হলো দোঁহে
কী ছিল বিধাতার মনে
বনের পাখি বলে
খাঁচার পাখি ভাই
বনেতে যাই দোঁহে মিলে
খাঁচার পাখি বলে
বনের পাখি আয়
খাঁচায় থাকি নিরিবিলে
বনের পাখি বলে, না
আমি শিকলে ধরা নাহি দিব
খাঁচার পাখি বলে, হায়
আমি কেমনে বনে বাহিরিব
বনের পাখি বলে আকাশ ঘন নীল
কোথাও বাধা নাহি আর
খাঁচার পাখি বলে
খাঁচাটি পরিপাটি
কেমন ও ঢাকা চারিধার
বনের পাখি বলে আপনা ছাড়ি দাও
মেঘের মাঝে একিবারে
খাঁচার পাখি বলে নিরালায় বসে
বাঁধিয়া রাখো আপনারে
বনের পাখি বলে না
সেথা কোথায় উড়ি বার বার
খাঁচার পাখি বলে হায়
মেঘে কোথায় বসিবার ঠায়
Khachar Pakhi Lyrics
Khanchar pakhi chilo
Sonar khanchatite
Boner pakhi chilo bone
Ekoda ki joriya milon holo dohe
Ki chilo bidhatar mone
Boner pakhi chilo
Khanchar pakhi vai
Bonete jai dohe mile
Khanchar pakhi bole
Boner pakhi ay
Khanchay thaki niribile
Boner pakhi bole , na
Ami sikole dhora nahi dibo
Khanchar pakhi bole , hay
Ami kemne bone bahiribo
Boner pakhi bole akash ghono neel
Kothaw badha nahi ar
Khanchar pakhi bole
Khancha te poripati
Kemon o dhaka chari dhar
Boner pakhi bole apona
Chari daw megher majhe ekibare
Khanchar pakhi bole
Niralay bose badhiya rakho aponare
Boner pakhi bole , na
Setha kothay uri bar bar
Khanchar pakhi bole , hay
Meghe kothay bosibar thay
খাঁচার পাখি লিরিক্স [ Khachar Pakhi Lyrics ] । Rabindranath Tagore । নিকিতা গান্ধী । Nikhita Gandhi
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়।
রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়।
তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান। ১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন।
১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।
১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।
১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। ১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়।