Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি লিরিক্স | khacar bhitor ochin pakhi | লালন শাহ্‌

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি লিরিক্স | khacar bhitor ochin pakhi | লালন শাহ্‌

লালন (১৭ অক্টোবর ১৭৭৪ – ১৭ অক্টোবর ১৮৯০) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি; যিনি ফকির লালন, লালন সাঁই, লালন শাহ, মহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত। তিনি একাধারে একজন আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক এবং দার্শনিক। তিনি অসংখ্য গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন।

 

লালন শাহ্‌

 

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি লিরিক্স

 

খাঁচার ভিতর অচিন পাখি
কেমনে আসে যায়।
তারে ধরতে পারলে মন বেড়ি,
ধরতে পারলে মন বেড়ি
দিতাম পাখির পায়ে।
কেমনে আসে যায়,
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।

আট কুঠুরী নয় দরজা আটা
মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাঁটা।
তার উপরে সদর কোঠা,
তার উপরে সদর কোঠা,
আয়না মহল তায়।
কেমনে আসে যায়,
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।

 

লালন শাহ্‌

কপালের ফের নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার।
খাঁচা ভেঙ্গে পাখি আমার,
খাঁচা ভেঙ্গে পাখি আমার কোন খানে পালায়।
কেমনে আসে যায়,
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।

মন তুই রইলি খাঁচার আসে,
খাঁচা যে তোর কাঁচা বাঁশের।
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে,
কোন দিন খাঁচা পড়বে খসে
ফকির লালন কেঁদে কয়।
কেমনে আসে যায়,
খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।

 

লালন শাহ্‌

 

Khachar vitor ochin pakhi english lyrics

 

 

Khachar vitor ochin pakhi Kemne ashe jay
Tare dhorte parle mono beri
Ditam pakhir paay
Aat kuthuri noy Dorja aata
moddhey moddhey chorka kata
Tar upore shodor kotha
Aayna mohol taay
Kopaler pher noile ki aar
Pakhitir emon bebohar
Khacha venge pakhi amar
kon khane palay
Khachar vitor achin pakhi
Khachar vetor ochin pakhi
Kemne ashe jaay
লালন শাহ্‌

লালন শাহ্‌ সম্পর্কে কিছু কথাঃ লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন।

তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে। গান্ধীরও ২৫ বছর আগে, ভারত উপমহাদেশে সর্বপ্রথম, তাকে ‘মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়েছিল।

 

লালনের জীবন সম্পর্কে বিশদ কোনো বিবরণ পাওয়া যায় না। তার সবচেয়ে অবিকৃত তথ্যসূত্র তার নিজের রচিত ২৮৮টি গান। কিন্তু লালনের কোনো গানে তার জীবন সম্পর্কে কোনো তথ্য তিনি রেখে যাননি, তবে কয়েকটি গানে তিনি নিজেকে “লালন ফকির” হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তার মৃত্যুর পনেরো দিন পর কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত হিতকরী পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, “ইহার জীবনী লিখিবার কোন উপকরণ পাওয়া কঠিন। নিজে কিছু বলিতেন না। শিষ্যরা তাঁহার নিষেধক্রমে বা অজ্ঞতাবশত কিছুই বলিতে পারে না।”

 

লালন শাহ্‌

 

লালনের জন্ম কোথায় তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। লালন নিজে কখনো তা প্রকাশ করেননি। কিছু সূত্রে পাওয়া যায় লালন ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার (বর্তমান বাংলাদেশের) ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হারিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কোনো কোনো লালন গবেষক মনে করেন, লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার চাপড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাড়ারা গ্রামে জন্মেছিলেন। এই মতের সাথেও অনেকে দ্বিমত পোষণ করেন। বাংলা ১৩৪৮ সালের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লালনের জন্ম যশোর জেলার ফুলবাড়ি গ্রামে বলে উল্লেখ করা হয়। একসূত্র থেকে জানা যায়, তার পিতার নাম কাজী দরীবুল্লাহ্ দেওয়ান। পিতামহের নাম কাজী গোলাম কাদির ও মাতার নাম আমিনা খাতুন।

কাজী তাদের বংশগত উপাধি। গবেষকদের ধারণা, লালন শাহের আরো দুই ভাই ছিলেন। আলম শাহ্ ও কলম শাহ্।  আলম শাহ্ কলকাতা শ্রমিকের কাজ করেন। আরেক তথ্য থেকে জানা যায়, তারা চার ভাই: আলম শাহ্, কলম শাহ্, চলম শাহ্ ও লালন শাহ্। চলম শাহ নামে ভাই ছিল না বলে মনে করা হলেও মলম শাহ্ নামে আরেক ভাই ছিলেন। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে আলম ও মলম মৃত্যুমুখে পতিত হন। লালন ফকির জীবকা জন্য হরিশপুরের দক্ষিণ পাড়ার ইনু কাজীর বাড়ি আশ্রয় নেন।

 

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version