Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

চন্দনা মজুমদার । বাংলাদেশি লালন সংগীতশিল্পী

চন্দনা মজুমদার । বাংলাদেশি লালন সংগীতশিল্পী

চন্দনা মজুমদার একজন বাংলাদেশি লালন সংগীতশিল্পী। তিনি ২০০৯ সালে মনপুরা চলচ্চিত্রের জন্য কৃষ্ণকলির সাথে সেরা নারী প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কারে ভূষিত হন। লালনগীতির জন্যও তিনি বিখ্যাত।

প্রারম্ভিক জীবন

চন্দনা মজুমদার মূলত লালন সংগীত এর শিল্পী।কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর পাড়ে তাঁর জন্ম। বাবা নির্মলচন্দ্র মজুমদার লালনগীতির শিল্পী হলেও তিনি চেয়েছিলেন নজরুলগীতির শিল্পী হতে।কিন্তু কুষ্টিয়া, পারিবারিক পরিবেশ আর ফরিদা পারভীনের গান তাঁকে নিয়ে আসে লালনের সুরে।লালনের গানের জন্য বিখ্যাত তিনি। লালনের গান দিয়ে ছোটবেলাতেই শুরু গানের চর্চা।লালনের বাইরে রাধারমণ, হাসনরাজা, শাহ্‌ আবদুল করিম আরও বিভিন্ন গীতিকবির গান করেন তিনি।ছোটবেলায় বাবা নির্মল চন্দ্র মজুমদারের কাছে তালিম নেন গানের।

সঙ্গীত জীবন

তিনি কিছু চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন চন্দনা মজুমদার ।এর মাঝে ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রের একটি গান অনেক পরিচিতি পায় এবং তাঁকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তাঁর সহধর্মী কিরণ চন্দ্র রায়ও বাউল গানের শিল্পী। তাই গানের ব্যাপারে তাঁদের বোঝাপড়াটা বেশ ভালো।রাইসুল তমালের ‘আদা সমুদ্দুর’ নাটকে ‘কান্নার ঢেউ’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী চন্দনা মজুমদার।

অ্যালবাম

তার কণ্ঠে লালনের গানই বেশি শোনা গেছে। এছাড়াও এই শিল্পী শাহ আবদুল করিমের ১০টি গান দিয়ে পুরো একটি অ্যালবামের কাজ শেষ করেছেন। নাম ‘বসন্ত বাতাসে’।গানগুলোর শিরোনাম ‘আমার বন্ধুরে কই পাব সখী গো’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘গান গাই আমার মনরে বুঝাই’, ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইছে’, ‘যে গুণে বন্ধুরে পাব’, ‘কুল-মান সঁপিলাম তোমারে’, ‘এখন ভাবিলে কি হবে’, ‘আমি কেমনে রাখিব তোর মন’, ‘দরদিয়া রে বন্ধু আমি তোমায়’।

রাধারমণের গান নিয়ে একটি অ্যালবামের কাজ করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে অ্যালবামটি  প্রকাশিত হয়েছে।কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানীকে নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘ফেলানী’। আর এ চলচ্চিত্রে ফেলানীর জন্য গান গেয়াছেন শিল্পী চন্দনা মজুমদার।

চন্দনা মজুমদারের সর্বশেষ প্রকাশিত একক অ্যালবামটি হচ্ছে অপার লিলে।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version