Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

চেংড়া বন্ধুয়া রে [ Chengra Bondhua Re ]

চেংড়া বন্ধুয়া রে [ Chengra Bondhua Re ]

বাউল এবং তার সঙ্গী দোতারা
“চেংড়া বন্ধুয়া রে” গানটি একটি বাংলার লোক’গীতি যাকে ( ফোক সং ) ও বলা হয় । লোক সঙ্গীত বা লোকগীতি বাংলাদেশের সঙ্গীতের একটি অন্যতম ধারা। এটি মূলত বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত। গ্রাম বাংলার মানুষের জীবনের কথা, সুখ দুঃখের কথা ফুটে ওঠে এই সঙ্গীতে ।

 

চেংড়া বন্ধুয়া রে [ Chengra Bondhua Re ]

গানের ধরণ / জনরাঃ লোকগীতি (ফোক সং)

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

চেংড়া বন্ধুয়া রে [ Chengra Bondhua Re ]

নদীর কূলে সরিষার ফুল
তুই খালি মোর জাতিকুল,
ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ঝেড়ে বাঁধি চুল
চেংড়া বন্ধুয়া রে
ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ঝেড়ে বাঁধি চুল।

মন তো পিরীত জানে না
বন্ধু আমায় ছাড়ে না,
দুই টাকা দিলো বন্ধু পিরিতের বায়না।
তোমরা জানিয়া করবেন কি?
তোমরা শুনিয়া করবেন কি?
হায়রে নষ্ট করলো বন্ধু আমার দারুন পিরিতি,
হায়রে নষ্ট করলো বন্ধু আমার দারুন পিরিতি।
চেংড়া বন্ধুয়া রে
ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ঝেড়ে বাঁধি চুল।

তুই আবার চাইয়া আসলা না
কথা দিয়া কথা রাখলা না,
মন মিলে মনের মানুষ মিলে না।
তোমরা জানিয়া করবেন কি?
তোমরা শুনিয়া করবেন কি?
হায়রে নষ্ট করলো বন্ধু আমার দারুন পিরিতি,
হায়রে নষ্ট করলো বন্ধু আমার দারুন পিরিতি।
চ্যাংরা বন্ধুয়া রে
ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ঝেড়ে বাঁধি চুল।

তুই দেখতে দেখতে সিয়ানা হইলি
আবার না বলিয়া চলিয়া গেলি,
এত গোসা বন্ধু তোমার অন্তরে।
তোমরা জানিয়া করবেন কি?
তোমরা শুনিয়া করবেন কি?
হায়রে নষ্ট করলা বন্ধু আমার দারুন পিরিতি,
হায়রে নষ্ট করলা বন্ধু আমার দারুন পিরিতি।
চ্যাংরা বনধুয়া রে
ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ঝেড়ে বাঁধি চুল।

নদীর কূলে সরিষার ফুল
তুই খালি মোর জাতিকুল,
ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ঝেড়ে বাঁধি চুল
চ্যাংড়া বন্ধুয়া রে
ছেড়ে দে, ছেড়ে দে ঝেড়ে বাঁধি চুল।

লোক’গীতি বা ফোক সংঃ 

লোক’গীতি বাংলার নিজস্ব সঙ্গীত,একটি দেশের বা যেকোনো অঞ্চলের কালচার সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। যেমন ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি, গম্ভীরা ইত্যাদি।

কোনো একটি দেশ, জাতি বা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংগীতকে ফোক সংগীত বলা হয়ে থাকে। একটি দেশ তার সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে তোলে ধরে নিজেকে। তেমনি আমাদের দেশেও রয়েছে নানা ধরনের সংস্কৃতি। একটি সংস্কৃতির আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তার দেশের গান। একেক ঘরানার গান গেয়ে শিল্পীরা নিজে দেশের কৃষ্টি এবং ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারেন খুব সহজেই।

সাধারণত কোনো একটি অঞ্চলের নিজস্ব ঢঙে সুর ও সংগীত ব্যবহার করে। সে অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে এবং গানের কথায় সে অঞ্চলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে ফোক গানের সৃষ্টি করা হয়।ফোক সংগীতের একটি বৈশিষ্ট্য হলো মানুষের মুখে মুখে পরিবর্তিত হয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বা সংস্কৃতির ফোক গান নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের হয়ে থাকে এবং অঞ্চলভেদে এর বৈশিষ্ট্যও ভিন্ন। বংশপরম্পরায় এবং যুগ যুগ ধরে এসব গান চলতে থাকে।

আরও দেখুনঃ

 

Exit mobile version