জারিন তাসনিম নাওমি একজন বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলাদেশ নতুন কুঁড়ি, জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এবং অর্জন করেন ১৪টি জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার।
Table of Contents
প্রাথমিক জীবন
নাওমি ১৯৯৬ সালের ২ জুলাই বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা-মা দুজনই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। বাবা মোহাম্মদ লুৎফর রহমান ডেপুটি রেজিষ্ট্রার এবং মা শাহানারা রহমান উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। দুই ভাইবোনের মধ্যে নাওমি ছোট। ছেলেবেলা কাটান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তিনি ক্যাম্ব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে মাধ্যমিক শ্রেণী শেষ করেন। একই কলেজে বাণিজ্য বিভাগ থেকে তিনি উচ্চ-মাধ্যমিক শেষ করেন।
সঙ্গীতজীবন
২০০৯ সালের ক্ষুদে গানরাজখ্যাত শিল্পী জারিন তাসনিম নাওমি । মাত্র ৪ বছর বয়সে মায়ের কাছে ক্ল্যাসিকালে তালিম নেওয়া এই শিল্পীর সাফল্য ছোটবেলা থেকেই।পরবর্তীতে সুনীল কুমার ধরের কাছ থেকে ক্ল্যাসিকাল এবং বিভিন্ন সংগীতঙ্গের নিকট থেকেও সংগীত শেখেন।
ক্ষুদে গানরাজের পর নাওমির গানের সুযোগটা করে দিয়েছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ এবং আসিফ ইকবাল।আমির নেওয়াজের একটি অ্যালবামে ‘নীল আকাশ’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছেন। ২০১২ সালে তার প্রথম একক আত্ম-শিরোনাম অ্যালবাম ‘নাওমি’ প্রকাশিত হয়। তিনি এবিসি রেডিও এবং ঢাকা এফএমের থিম সঙ্গীতে কাজ করেন।তিনি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠশিল্পী হিসেবেও ভূমিকা পালন করেন। তিনি নিজের গাওয়া কিছু গানের মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন নাওমি।
অভিনয় ও উপস্থাপনা
২০১৩ সালে ‘হারানো সুর’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন নাওমি। বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্বে উপস্থাপনাও করেছেন তিনি। সম্প্ৰতি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে মিউজিক ভিডিও নিয়ে সাজানো সরাসরি সংগীতানুষ্ঠান ‘ইওর চয়েস’ এ উপস্থাপনা করছেন নাওমি। অনুষ্ঠানটি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে প্রতি রবিবার রাত ১২টা ২ মিনিটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
পুরস্কার ও সম্মাননা
নাওমি নতুন কুঁড়ি, জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতাসহ নানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ২০০৯ সাল পর্যন্ত অর্জন করেন ১৪টি জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার।
আরও দেখুনঃ