Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

তুমি কোন কাননের ফুল লিরিক্স | tumi kon kanon er ful lyrics | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তুমি কোন কাননের ফুল লিরিক্স | tumi kon kanon er ful lyrics | rরবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।

তুমি কোন কাননের ফুল লিরিক্স

গীতিকারঃ রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর

 

 

রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর

 

 

তুমি কোন কাননের ফুল

কোন গগনের তারা

তোমায় কোথায় দেখেছি

যেন কোন স্বপনের পারা (x2)

তুমি কোন কাননের ফুল

কোন গগনের তারা।

কবে তুমি গেয়েছিলে

আঁখির পানে চেয়েছিলে ভুলে গিয়েছি (x2)

শুধু মনের মধ্যে জেগে আছে

ওই নয়নের তারা।

তুমি কোন কাননের ফুল

কোন গগনের তারা।

তোমায় কোথায় দেখেছি

যেন কোন স্বপনের পারা।

তুমি কথা কোয়ো না,

তুমি চেয়ে চলে যাও।

এই চাঁদের আলোতে

তুমি হেসে গলে যাও (x2)

আমি ঘুমের ঘোরে চাঁদের পানে,

চেয়ে থাকি মধুর প্রাণে।

তোমার আঁখির মতন দুটি তারা

ঢালুক কিরণধারা।

তুমি কোন কাননের ফুল

কোন গগনের তারা।

তোমায় কোথায় দেখেছি

যেন কোন স্বপনের পারা।

 

 

রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর

 

tumi kon kanon er ful lyrics in english

 

 

রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর

 

 

Tumi kon kanoner ful Kon gogoner tara
Tomay kothay dekhechi Jeno kon swapaner para
Tumi kon kanoner phul Kon gogoner tara
Kobe tumi geyechile..
Ankhir paane cheyechile, vule giyechi
Sudhu moner modhhey jege ache
Oi noyoner taaraTumi kotha koyo na Tumi cheye chole jao
Ei chander alote, tumi hese gole jao
Ami ghumer ghore chander paaney
Cheye thaki madhur praney..
Tomar ankhir moton duti taara,
dhaluk kiron dhara
Tumi kon kanoner phool Kon gogoner tara

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃরবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর কলকাতারজোড়াসাঁকোঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫) এবং মাতা ছিলেন সারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫)। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা।

১৮৭৫ সালে মাত্র চোদ্দ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের মাতৃবিয়োগ ঘটে। পিতা দেবেন্দ্রনাথ দেশভ্রমণের নেশায় বছরের অধিকাংশ সময় কলকাতার বাইরে অতিবাহিত করতেন। তাই ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান হয়েও রবীন্দ্রনাথের ছেলেবেলা কেটেছিল ভৃত্যদের অনুশাসনে। শৈশবে রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু বিদ্যালয়-শিক্ষায় অনাগ্রহী হওয়ায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছেলেবেলায় জোড়াসাঁকোর বাড়িতে অথবা বোলপুর ও পানিহাটির বাগানবাড়িতে প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করতেন রবীন্দ্রনাথ।

১৮৭৩ সালে এগারো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের উপনয়ন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর তিনি কয়েক মাসের জন্য পিতার সঙ্গে দেশভ্রমণে বের হন। প্রথমে তারা আসেন শান্তিনিকেতনে।  এরপর পাঞ্জাবের অমৃতসরে কিছুকাল কাটিয়ে শিখদের উপাসনা পদ্ধতি পরিদর্শন করেন। শেষে পুত্রকে নিয়ে দেবেন্দ্রনাথ যান পাঞ্জাবেরই (অধুনা ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত) ডালহৌসি শৈলশহরের নিকট বক্রোটায়। এখানকার বক্রোটা বাংলোয় বসে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছ থেকে সংস্কৃত ব্যাকরণ, ইংরেজি, জ্যোতির্বিজ্ঞান, সাধারণ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের নিয়মিত পাঠ নিতে শুরু করেন।

দেবেন্দ্রনাথ তাকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জীবনী, কালিদাস রচিত ধ্রুপদি সংস্কৃত কাব্য ও নাটক এবং উপনিষদ্‌ পাঠেও উৎসাহিত করতেন।১৮৭৭ সালে ভারতী পত্রিকায় তরুণ রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা প্রকাশিত হয়। এগুলি হল মাইকেল মধুসূদনের “মেঘনাদবধ কাব্যের সমালোচনা”, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী এবং “ভিখারিণী” ও “করুণা” নামে দুটি গল্প। এর মধ্যে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই কবিতাগুলি রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলির অনুকরণে “ভানুসিংহ” ভণিতায় রচিত। রবীন্দ্রনাথের “ভিখারিণী” গল্পটি (১৮৭৭) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ছোটগল্প।১৮৭৮ সালে প্রকাশিত হয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ তথা প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ কবিকাহিনী। এছাড়া এই পর্বে তিনি রচনা করেছিলেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) কাব্যগ্রন্থটি। রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতা “নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ” এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version