Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে [ Tumi Nirmal Karo Mangal Kare ]

তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে
রজনীকান্ত সেন

“তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে” গানটি লিখেছেন প্রখ্যাত কবি, গীতিকার এবং সুরকার রজনীকান্ত সেন । ঈশ্বরের আরাধনায় ভক্তিমূলক ও দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ বা স্বদেশ প্রেমই তাঁর গানের প্রধান বৈশিষ্ট্য ও উপজীব্য বিষয়।

তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে [ Tumi Nirmal Karo Mangal Kare ]

গীতিকারঃ রজনীকান্ত সেন

সুরকারঃ রজনীকান্ত সেন

তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে [ Tumi Nirmal Karo Mangal Kare ]

তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।।
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর
মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।

লক্ষ্য-শুন্য লক্ষ বাসনা ছুটিছে গভীর আঁধারে,
জানি না কখন ডুবে যাবে কোন্
অকুল-গরল-পাথারে!
প্রভু, বিশ্ব-বিপদহন্তা,
তুমি দাঁড়াও, রুধিয়া পন্থা;

রজনীকান্ত সেন

তব, শ্রীচরণ তলে নিয়ে এস, মোর
মত্ত-বাসনা গুছায়ে!
মলিন মর্ম মুছায়ে।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।

আছ, অনল-অনিলে, চিরনভোনীলে, ভূধরসলিলে, গহনে;
আছ, বিটপীলতায়, জলদের গায়, শশীতারকায় তপনে।
আমি, নয়নে বসন বাঁধিয়া,
ব’সে, আঁধারে মরিগো কাঁদিয়া;
আমি, দেখি নাই কিছু, বুঝি নাই কিছু,
দাও হে দেখায়ে বুঝায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর
মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে।

রজনীকান্ত সেনঃ

রজনীকান্ত সেন

রজনীকান্ত সেন  প্রখ্যাত কবি, গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে বাঙালি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সমসাময়িক এই গীতিকারের গানগুলো খুবই জনপ্রিয়। পিতা গুরুপ্রসাদ সেন ও মাতা মনোমোহিনী দেবীর ৩য় সন্তান ছিলেন রজনীকান্ত। গুরুপ্রসাদ চারশো বৈষ্ণব ব্রজবুলী কবিতাসঙ্কলনকে একত্রিত করে ‘পদচিন্তামণিমালা’ নামক কীর্তন গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এছাড়াও ‘অভয়াবিহার’ গীতি-কাব্যের রচয়িতা ছিলেন তিনি।

রজনীকান্ত সেনের মা মনোমোহিনী দেবী বাংলা সাহিত্যের প্রতি বেশ অনুরক্ত ছিলেন। তিনি এ বিষয়ে কিশোর রজনীকান্তের সাথে আলাপ-আলোচনা করতেন। এই আলোচনা-পর্যালোচনাই তাঁর ভবিষ্যত জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। ভাঙ্গাকুঠি’র তারকেশ্বর চক্রবর্তী ছিলেন তার বন্ধু। তার সঙ্গীত সাধনাও রজনীকে সঙ্গীতের প্রতি দূর্বার আকর্ষণ গড়তে সাহায্য করে। তিনি তার রচিত কবিতাগুলোকে গান আকারে রূপ দিতে শুরু করেন। পরবর্তীতে বাদ্যযন্ত্র সহযোগে গান পরিবেশন করতেন। রজনী’র কবিতাগুলো স্থানীয় উৎসআশালতা প্রমূখ সংবাদ-সাময়িকীতে অনেকবার প্রকাশিত হয়েছিল। কলেজ জীবনের দিনগুলোতে তিনি গান লিখতেন। রজনীকান্ত শৈশবকাল থেকে সঙ্গীতপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কোথাও কোন সুমধুর সঙ্গী শুনলেই তিনি সুর, তাল-সহ তৎক্ষণাৎ তা কণ্ঠস্থ করতে পারতেন। তার পিতা গুরুপ্রসাদ সেন একজন দক্ষ সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। ফলে পিতার সাহচর্য্যেই শৈশবে সঙ্গীত অনুশীলন করার সুযোগ ঘটে তার। বস্তুতঃ কাব্যের চেয়ে গানের ক্ষেত্রে তার কৃতিত্ব অধিক।

তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯১০ সালে মারা যান ।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version