তুমি যে আমার কবিতা লিরিক্স | tumi je amar kobita | দর্প-চূর্ণ,1980 | সাবিনা-ইয়াসমিন
তুমি যে আমার কবিতা গানটি দর্প-চূর্ণ মুভি থেকে নেয়া হয়েছে । দর্প-চূর্ণ হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন দিলীপ রায়। এই চলচ্চিত্রটি বিখ্যাত লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৮০ সালে নাড়ুগোপাল প্রোডাকশান্স ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন কালীপদ সেন। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, সন্ধ্যা রায়, দীপঙ্কর দে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
তুমি যে আমার কবিতা লিরিক্স
কন্ঠশিল্পীঃ সাবিনা-ইয়াসমিন

আমার বাঁশীর রাগিনী।
আমার স্বপন আধ-জাগরণ
চিরদিন তোমারে চিনি।
তুমি যে আমার কবিতা
আমার বাঁশীর রাগিনী।
আমার স্বপন আধ-জাগরণ
চিরদিন তোমারে চিনি।
তুমি যে আমার কবিতা…আমি কে তোমার যদি জানতে
তবে কি আমায় কাছে টানতে?
হয়ত সুদূরে যেতে গো সরে
না, না নয়নের নীলে তুমি যে ছিলে।
চিরদিন তোমারে চিনি।
তুমি যে আমার কবিতা…
তুমি এলে তাই স্বপ্ন এলো
ইন্দ্রধনুর লগ্ন এলো।
তুমি এলে তাই স্বপ্ন এলো
ইন্দ্রধনুর লগ্ন এলো।
এ মধুর প্রহর হোক না অমর
ওগো মোর পল্লবিনী।
তুমি যে আমার কবিতা…

যদি এ লগন আঁধারে ঢাকে
যদি নেভে দ্বীপ পথেরও বাঁকে।
যদি এ লগন আঁধারে ঢাকে
যদি নেভে দ্বীপ পথেরও বাঁকে।
তুমি যে আমার বলব আবার
তুমি যে আমার বলব আবার।
চিরদিন তোমারে চিনি।
তুমি যে আমার কবিতা
আমার বাঁশীর রাগিনী।
আমার স্বপন আধ-জাগরণ
চিরদিন তোমারে চিনি।
তুমি যে আমার কবিতা…।

সাবিনা-ইয়াসমিনঃ সাবিনা ইয়াসমিন (জন্ম: ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৫৪) একজন বাংলাদেশি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি তিনি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লুতফর রহমান ব্রিটিশ রাজের অধীনে সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মাতা বেগম মৌলুদা খাতুন। পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। তার পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই সঙ্গীতের সাথে যুক্ত। তারা হলেন ফরিদা, ফৌজিয়া, নীলুফার এবং সাবিনা ইয়াসমিন। তার আরেক বোন নাজমা ইয়াসমিন। তার ভগ্নীপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা, সুরকার খান আতাউর রহমান এবং তার ভাগ্নে সঙ্গীতশিল্পী আগুন।
১৯৬৪ সালে তিনি বেতারে ছোটদের গানের অনুষ্ঠান খেলাঘর-এ নিয়মিত অংশ নিতেন। এই অনুষ্ঠান থেকে তার প্রথম সম্মানী ছিল ১০ টাকা। এই অনুষ্ঠানে তার সঙ্গী ছিলেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ। শিশু শিল্পী হিসেবে তারা দুজন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের নিকট থেকে পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। তিনি সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার প্রতিবেশীর বাড়িতে আলতাফ মাহমুদ আসেন। মাহমুদ তখন চলচ্চিত্রের সঙ্গীত ও সুরায়োজন করতেন। তার মা ও তিনি মাহমুদকে তাকে চলচ্চিত্রের গানের সুযোগ দেওয়া অনুরোধ করেন এবং মাহমুদ তাকে আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ দেন।
