তেল গেলে ফুরাইয়া (1993) [ Tel Gele Furaiya ]

তেল গেলে ফুরাইয়া
ত্যাগ ছবির পোষ্টার

“তেল গেলে ফুরাইয়া” গানটি খুবই জনপ্রিয় একটি বাংলা চলচিত্রের গান। গানটি বাংলা ছায়াছবি “ত্যাগ” এর মধ্যে গাওয়া হয়েছে । গানটি গেয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী এবং সুর করেছেন আলম খান

তেল গেলে ফুরাইয়া  [ Tel Gele Furaiya ]

সুরকারঃ আলম খান

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ সৈয়দ আব্দুল হাদী

তেল গেলে ফুরাইয়া  [ Tel Gele Furaiya ]

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

কি হবে আর কান্দিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

কি হবে আর কান্দিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

ও হো হো হো …হো .হো

ও হো হো হো …হো .হো

কেহ আগে কেহ পরে

যেতে যে হবে

জমি জমা বাড়ি গাড়ি কিছুনা রবে

কেহ আগে কেহ পরে

যেতে যে হবে

জমি জমা বাড়ি গাড়ি কিছুনা রবে।

আমি অধম কি করিব

সময় হলে চলে যাবো

মাটির দেহ মাটির মাঝে যাবে মিশিয়া।

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

কি হবে আর কান্দিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া।

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া।

ও হো হো হো …হো .হো

ও হো হো হো …হো .হো

রঙ্গ রসে থাকি মেতে দুনিয়া মাঝে

বহুরূপী সাজি আমি কতনা সাজে

রঙ্গ রসে থাকি মেতে দুনিয়া মাঝে

বহুরূপী সাজি আমি কতনা সাজে

পরপারে কি বলিব ভবের কামায় কি দেখাবো

নকল হাটে আসল সোনা গেলাম বেচিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

কি হবে আর কান্দিয়া।

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

কি হবে আর কান্দিয়া।

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

তেল গেলে ফুরাইয়া বাত্তি যায় নিভিয়া

সৈয়দ আব্দুল হাদী:

তেল গেলে ফুরাইয়া
সৈয়দ আব্দুল হাদী

সৈয়দ আব্দুল হাদী ১৯৪০ সালের ১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে উঠেছেন আগরতলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং কলকাতায়। তবে তার কলেজ জীবন কেটেছে রংপুর আর ঢাকায়।

সৈয়দ আবদুল হাদী দেশাত্ববোধক গানের জন্য জনপ্রিয়। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সঙ্গীত করছেন। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে সৈয়দ আবদুল হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন। সিনেমার নাম ছিল ‘ডাকবাবু’। মো. মনিরুজ্জামানের রচনায় সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে একটি গানের মাধ্যমে সৈয়দ আবদুল হাদীর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয় সৈয়দ আবদুল হাদীর প্রথম রবীন্দ্র সংগীতের একক অ্যালবাম ‘যখন ভাঙলো মিলন মেলা’। সৈয়দ আবদুল হাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে অনার্স পড়ার সময় সুবল দাস, পি.সি গোমেজ, আবদুল আহাদ, আবদুল লতিফ প্রমুখ তাকে গান শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা ও উৎসাহ যুগিয়েছেন।

আলম খানঃ

তেল গেলে ফুরাইয়া
খুরশিদ আলম খান

তেল গেলে ফুরাইয়া সুরকার খুরশিদ আলম খান  বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক । আলম খান ১৯৪৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আফতাব উদ্দিন খান ছিলেন সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্ট এর এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ও মা জোবেদা খানম ছিলেন গৃহিণী।

স্কুলে থাকাকালীন তার গানের প্রতি ঝোঁক সৃষ্টি হয়। বাবা আফতাব উদ্দিন প্রথমে অনাগ্রহ দেখালেও মায়ের উৎসাহে গানের চর্চা চালিয়ে যান। পরবর্তীতে তার বাবাই তাকে ওস্তাদ ননী চ্যাটার্জীর কাছে গানের তালিমের জন্য নিয়ে যান। পাঁচ ভাই তিন বোনের মধ্যে আলম খান মেজো।

আলম খান ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে তালাশ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেন। ১৯৭০ সালে প্রথম চলচ্চিত্রকার আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত কাচ কাটা হীরে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এককভাবে সঙ্গীত পরিচালনা শুরু করেন। তার সুরকৃত প্রথম জনপ্রিয় গান স্লোগান ছায়াছবির “তবলার তেড়ে কেটে তাক”। এরপর ১৯৭৭ সালে আবদুল্লাহ আল মামুন তার পরিচালিত সারেং বৌ চলচ্চিত্রের গান নিয়ে কথা বলার সময় তার ১৯৬৯ সালের সুর করা একটি মুখরা শুনালে ছবির পরিচালক তা নিতে আগ্রহী হন। ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেই ছবির আবদুল জব্বারের কণ্ঠে “ওরে নীল দরিয়া” গানটি তার এক অনন্য সৃষ্টি।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment