“তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো” গানটি পছন্দ করেননা এরকম মানুষ এই বাংলায় পাওয়া মনে হয় কষ্টকর হবে।এই গানটি অনেক বাউল/গায়ক গেয়েছেন। প্রত্যেকের লিরিক্সেই সামান্য পরিবর্তন রয়েছে, তবে আসল গানটি লিখেছেন দ্বিজ ভূষণ । গানটি বৈষ্ণব কীর্তন সুরে গাওয়া একটি গান ।
ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
আমরা আর পাব না, আর পাব না।
“তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না”
“তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না”।
ওরে ছেড়ে দিলে সোনার গৌড় আর পাবো না
ক্ষ্যাপা ছেড়ে দিলে সোনার গৌড়
আর পাবো না না না না, আর পাবো না।
“তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না ”
“তোমায় হৃদ মাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না”।
বৈষ্ণব পদাবলিঃ
তোমায় হৃদ মাঝারে রাখবো একটি বৈষ্ণব পদাবলী সুরে গাওয়া গান বৈষ্ণব ধর্মতত্ত্বের রসভাষ্য নামে খ্যাত এক শ্রেণীর ধর্মসঙ্গীত সংগ্রহ। বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যর সূচনা ঘটে চর্তুদশ শতকে বিদ্যাপতি ও চণ্ডীদাস-এর সময়ে, তবে ষোড়শ শতকে এই সাহিত্যের বিকাশ হয়।বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান অবলম্বন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা। বৈষ্ণব পদাবলী পুস্তকটি সংগ্রহ করেছেন বাবা আউল মনোহর দাস।বৈষ্ণব পদাবলীর পদকর্তাদের বা কবিদেরকে দুটি যুগে ভাগ করা হয়ে থাকে।প্রথমটি হল – চৈতন্য সমকালীন পদাবলিকার, দ্বিতীয় হল- চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণব পদাবলিকার। রাধাকৃষ্ণ-পদাবলীর প্রধান সুর বিরহের।এই বিরহ-সুরের রণনেই বাৎসল্যের, অনুরাগের এবং মিলনের শ্রেষ্ঠ পদগুলি উৎকর্ষপ্রাপ্ত। বিরহ বলতে মিলিত হবার আগে নায়ক নায়িকার মধ্যে দেশান্তর ইত্যাদির যে ব্যবধান।