Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

থাকতে যদি না পাই তোমায় লিরিক্স [ Thakte Jodi Na Pai Lyrics ] – বাউল জালাল উদ্দীন খাঁ [ Baul Jalal Uddin Kha ]

শিরোনামঃ থাকতে যদি না পাই তোমায় লিরিক্স  [ Thakte Jodi Na Pai Lyrics ]

কথা ও সুরঃ বাউল জালাল উদ্দীন খাঁ [ Baul Jalal Uddin Kha ]

গায়কঃ সৈয়দ আব্দুল হাদী

ছবির নামঃ বাঁশি ওয়ালা

সৈয়দ আব্দুল হাদী

সৈয়দ আব্দুল হাদী (জন্ম ১ জুলাই ১৯৪০) বাংলাদেশের একজন সঙ্গীত শিল্পী। তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০০ সালে সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক লাভ করেন।

সৈয়দ আবদুল হাদী দেশাত্ববোধক গানের জন্য জনপ্রিয়। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সঙ্গীত করছেন। ১৯৬০ সালে ছাত্রজীবন থেকেই চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৬৪ সালে সৈয়দ আবদুল হাদী একক কণ্ঠে প্রথম বাংলা সিনেমায় গান করেন। সিনেমার নাম ছিল ‘ডাকবাবু’। মো. মনিরুজ্জামানের রচনায় সঙ্গীত পরিচালক আলী হোসেনের সুরে একটি গানের মাধ্যমে সৈয়দ আবদুল হাদীর চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু।

থাকতে যদি না পাই তোমায় লিরিক্স

থাকতে যদি না পাই তোমায়
চাইনা মরিলে
আমায় কাঁদালে
ভাল বাসি বলে রে বন্ধু
আমায় কাঁদালে রে বন্ধু
তাই বুঝি আজ বুক ভেসে যায়

সৈয়দ আব্দুল হাদী

নয়নের জলে
আমায় কাঁদালে
ভালবাসা করে যে জন
কাঁদিতে হয় অতি গোপন ।।
শুস্ক বৃক্ষের কষ্ট যেমন
পাতা নাই ডালে
আমায় কাঁদাল.
ভালবাসা এমন রীতি
কাঁদিতে হয় দিবা নিশি ।।
তবু আমি মালা গাঁথি
পরেছি গলে
আমায় কাঁদালে
ভালবাসি বলে বন্ধু

সৈয়দ আব্দুল হাদী

Thakte Jodi Na Pai Lyrics

Thakte Jodi Na Pai Tumai
Caina Morile
Amay Kadale
Valovasi Bolere Bondhu
Amay Kadalere Bondhu
Tai Buji Aj Buk Vese Jay
Noyoner Jole
Amy Kadale

Valobas Kore Je Jon
Kadite Hoy Oti Gupon ||
Suskho Brikher Kosto Jemon
Pata Nay Dale
Amay Kadale.

সৈয়দ আব্দুল হাদী

Valobash Emon Riti
Kadite Hoy Diba Nishi ||
Tobu Ami Mala Gathi
Porechi Gole
Amay Kadale

Valobashi Bolere Bondhu.

জালাল উদ্দিন খাঁ নিয়ে কিছু বিস্তারিতঃ

জালাল উদ্দিন খাঁ ব্রিটিশ ভারতের নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আসদহাটি গ্রামে ১৮৯৪ সালে ২৫ এপ্রিল তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সদরুদ্দীন খাঁ।বিংশ শতাব্দীর বিশ থেকে ষাটের দশক অবধি প্রাকৃত বাঙালিজনের এই গীতিকবি তার সাধনায় সক্রিয় ছিলেন। আত্মতত্ত্ব, পরমতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব, লোকতত্ত্ব, দেশতত্ত্ব ও বিরহতত্ত্বের নামাঙ্কিতের মাঝে জালাল উদ্দিন প্রায় সহস্রাধিক গান রচনা করেছিলেন।

প্রখ্যাত এই লোক কবি মালজোড়া গানের আসরেও ছিলেন অনন্য। জালাল উদ্দীন খাঁ অনেক গান রচনা করেছিলেন। তার জীবদ্দশায় চার খণ্ডের ‘জালাল-গীতিকা’ গ্রন্থে ৬৩০টি গান প্রকাশিত হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় ‘জালাল-গীতিকা’ পঞ্চম খণ্ড। সেই খণ্ডে গানের সংখ্যা ৭২টি। এই মোট ৭০২টি গান নিয়ে ২০০৫ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়েছে ‘জালাল গীতিকা সমগ্র।’ জালাল তার গানগুলোকে বিভিন্ন ‘তত্ত্ব’তে বিন্যস্ত করে প্রকাশ করেন। সেই তত্ত্বগুলোর নামগুলো হলো- আত্মতত্ত্ব, পরমতত্ত্ব, নিগূঢ় তত্ত্ব, লোকতত্ত্ব, দেশতত্ত্ব, বিরহতত্ত্ব।

‘জালালগীতিকা’র অধিকাংশ গানই এরকম তত্ত্বনামাঙ্কিত হলেও অনেক গানকে জালাল খাঁ তত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত করেননি। যেমন- ‘জালাল গীতিকা’ প্রথম খণ্ডে সংকলিত ২০২টি গানের মধ্যে ২০টি গান ‘ভাটিয়ালি’ নামাঙ্কিত। দ্বিতীয় খণ্ডের ২২৮টি গানের ৬০টিই ‘ভাটিয়ালি’। তৃতীয় খণ্ডের ৭৮টি গানের সাতটি ‘তত্ত্ব’ বিষয়ে, আর ১৪টি ‘মুর্শিদি’ ও ১১টি ‘মারফতি’ নামাঙ্কিত গান।

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version