দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে [ Dine Dine ]

দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে
লালন শাহ্‌

“দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে” গানটি একটি লালনগীতি। লালনগীতি বলতে বাউল লালন শাহ্‌ যেসব গান লিখেগেছেন সেইসব গানকে বোঝায় । লালন ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন বাঙালি যিনি ফকির লালনলালন সাঁইলালন শাহমহাত্মা লালন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।

দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে [ Dine Dine ]

গীতিকারঃ লালন শাহ্‌

গানের জনরাঃ লালন শাহ্‌ 

দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে [ Dine Dine ]

দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে

রঙ্গিলা দালানের মাটি
গোসাঁইজি কোন রঙে।
বাঁইন্ধাছো ঘরখানি মিছা দুনিয়ার মাঝে
গোসাঁইজি…. কোন রঙে।
ও দিনে দিনে……..।।

বাল্য না কাল গেলো হাসিতে খেলিতে
যৈবন কাল গেলো রঙ্গে।।
আর বৃদ্ধ না কাল গেলো ভাবিতে চিন্তিতে
বৃদ্ধ না কাল গেলো ভাবিতে চিন্তিতে
গুরু ভজিবো কোন কালে,
গোঁসাইজী…. কোন রঙে।

হাড়ের ঘরখানি চামের ছাউনি
বন্ধে বন্ধে তার জোড়া।।
আর তাহারই তলে ময়ূর আর ময়ূরি
তাহারই তলে ময়ূর আর ময়ূরি
শূণ্যে উড়ায় ডানা,
গোসাঁইজি কোন রঙে।

একতালা দুইতালা, তিনতালা চারতালা
সদর তলায় বাত্তি জ্বলে।।
সাধক নীলকণ্ঠ কয় গুরু না ভজিলে
নীলকণ্ঠ কয় গুরু না ভজিলে
কি হবে নিধন কালে,
গোসাঁইজি কোন রঙে।

দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে

রঙ্গিলা দালানের মাটি
গোসাঁইজি কোন রঙে।
বাঁইন্ধাছো ঘরখানি মিছা দুনিয়ার মাঝে
গোসাঁইজি কোন রঙে।
মিছা দুনিয়ার মাঝে গোসাঁইজি কোন রঙে।

লালন শাহঃ

1449759132 3 1 দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে [ Dine Dine ]
লালন শাহ্‌

দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে গানের গীতিকার লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সকল প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। অসাম্প্রদায়িক এই মনোভাব থেকেই তিনি তার গান রচনা করেছেন। তার গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ও অ্যালেন গিন্সবার্গের  মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে। তার গানগুলো মূলত বাউল গান হলেও বাউল সম্প্রদায় ছাড়াও যুগে যুগে বহু সঙ্গীতশিল্পীর কণ্ঠে লালনের এই গানসমূহ উচ্চারিত হয়েছে।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে [ Dine Dine ]
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

লালন কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার ছেউড়িয়াতে একটি আখড়া তৈরি করেন, যেখানে তিনি তার শিষ্যদের নীতি ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিতেন। তার শিষ্যরা তাকে “সাঁই” বলে সম্বোধন করতেন। তিনি প্রতি শীতকালে আখড়ায় একটি ভান্ডারা (মহোৎসব) আয়োজন করতেন। যেখানে সহস্রাধিক শিষ্য ও সম্প্রদায়ের লোক একত্রিত হতেন এবং সেখানে সংগীত ও আলোচনা হত।

১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment