Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক (1978) [ Dukkho amar bashor rater palongko ] | সাবিনা ইয়াসমিন

দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক (1978) [ Dukkho amar bashor rater palongko ] | সাবিনা ইয়াসমিন

অলংকার
“দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক” গানটি বাংলা ছায়াছবি “অলঙ্কার” থেকে গাওয়া হয়েছে । গানটি গেয়ছেন বাংলাদেশ এর কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন । লিখেছেন সত্য সাহা । 

দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক (1978) [ Dukkho amar bashor rater palongko ] | সাবিনা ইয়াসমিন

গীতিকার: সত্য সাহা

সুরকার: মোঃ রফিকুজ্জামান

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পী: সাবিনা ইয়াসমিন

দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক লিরিক্স :

দুঃখ আমার, আমার বাসর রাতের পালঙ্ক
নিন্দা আমার প্রেম উপহার।
নিন্দা আমার প্রেম উপহার।
সাত নদী হার কলঙ্ক।।
সাবিনা ইয়াসমিন
দুঃখ আমার, আমার
বাসর রাতের পালঙ্ক
শাষণ বেড়ী, দুই পায়ে মল পড়েছি
আর আপবাদে কালি আছে
দুই চোখে তাই পড়েছি।
শাষণ বেড়ী দুই পায়ে মল পড়েছি
আর আপবাদে কালি আছে
দুই চোখে তাই পড়েছি।
মরমের আগুন এখন দ্বিগুন আমার।
মরমের আগুন এখন দ্বিগুন আমার।
দিবস রাতি নিঃসঙ্গ।।
দুঃখ আমার, আমার
বাসর রাতের পালঙ্ক
সুখের সাথে ঘর করা তাই হল না
এই বুকে থাকা কাঁটাটাকে
পর করা তাই হল না।
সুখের সাথে ঘর করা তাই হল না
এই বুকে থাকা কাঁটাটাকে
পর করা তাই হল না।
কপালের লিখন এখন বসন হয়ে
কপালের লিখন এখন বসন হয়ে
জড়িয়ে আছে অঙ্গ।।
দুঃখ আমার, আমার
বাসর রাতের পালঙ্ক
নিন্দা আমার প্রেম উপহার।
নিন্দা আমার প্রেম উপহার।
সাত নদী হার কলঙ্ক।।
দুঃখ আমার, আমার
বাসর রাতের পালঙ্ক ।
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

সত্য সাহাঃ

সত্য সাহা
সত্য সাহা  বাংলাদেশের প্রখ্যাত সুরকার এবং সংগীত পরিচালক। জনপ্রিয় ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ‘তুমি কি দেখেছ কভু’, ‘তোমারই পরশে জীবন আমার’, ‘নীল আকাশের নিচে আমি’ সহ অনেক গানের সুরকার তিনি।

সুভাষ দত্ত পরিচালিত প্রথম ছায়াছবি সুতরাং থেকে সত্য সাহার সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু। বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় নায়িকা কবরীর ছবিতে আগমন সত্য সাহার হাত ধরে। পরিচালক সুভাষ দত্ত তার সুতরাং ছবির জন্য নায়িকা খুঁজছিলেন সে সময়ে ছবির সঙ্গীত পরিচালক সত্য সাহা কবরীকে নিয়ে এলেন।

সত্য সাহা  ২৭শে জানুয়ারি, ১৯৯৯ সালে মৃতুবরণ করেন । 

 

 

মোঃ রফিকুজ্জামান

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বাংলাদেশের একজন গীতিকবি ও লেখক। তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনী-চিত্রনাট্য-সংলাপ রচয়িতা। তিনি ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে এবং ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯৪৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান ঝিনাইদহ জেলার লক্ষ্নীপুরের ফুরসুন্দিতে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি যশোর জেলার সদর উপজেলার খড়কীতে। তার বাবার নাম শাহাদাত আলী এবং মায়ের নাম সাজেদা খাতুন। ১৯৬৫ সাল থেকে বাংলাদেশে বেতারে নিয়মিত গীতিকার হিসেবে কাজ করছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান। ইতিমধ্যে তার প্রকাশিত গানের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি নিয়মিত ভাবে চলচ্চিত্রের জন্য গান লিখছেন ।

সাবিনা ইয়াসমিনঃ

সাবিনা ইয়াসমিন

সাবিনা ইয়াসমিন একজন বাংলাদেশি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি তিনি দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ, ধ্রুপদী, লোকসঙ্গীত ও আধুনিক বাংলা গানসহ বিভিন্ন ধারার নানান আঙ্গিকের সুরে গান গেয়ে নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি ১৪টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলার সঙ্গীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৮৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। তার সব সখীরে পার করিতে গানটি খুবই জনপ্রিয় ।

 

সাবিনা মাত্র ১৩ বছর বয়সে আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চু পরিচালিত আগুন নিয়ে খেলা (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে আলতাফ মাহমুদের সুরে “মধুর জোছনা দীপালি” গান গাওয়ার মাধ্যমে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই গানের জন্য তিনি ৫০০ টাকা সম্মানী পান। এর পূর্বে তিনি এহতেশামের নতুন সুর (১৯৬২) চলচ্চিত্রে রবীন ঘোষের সুরে প্রথম শিশু শিল্পী হিসেবে গান করেন।

সাবিনা ১৯৭২ সালে অবুঝ মন চলচ্চিত্রের “শুধু গান গেয়ে পরিচয়” গান দিয়ে প্রথম জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। একই বছর অশ্রু দিয়ে লেখা চলচ্চিত্রের “অশ্রু দিয়ে লেখা” গানটি শ্রোতাপ্রিয় হয়। পরের বছর রংবাজ (১৯৭৩) চলচ্চিত্রে তিনি কবরীর উপর চিত্রায়িত দুটি জনপ্রিয় গান “সে যে কেন এলো না” ও “হই হই হই রঙ্গিলা”-এ কণ্ঠ দেন।

তিনি ভারতীয় বাঙালি সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে ইন্দো-বাংলা যৌথ প্রযোজনার অন্যায় অবিচার চলচ্চিত্রে “ছেড়ো না ছেড়ো না হাত” গানে কণ্ঠ দেন। এছাড়া তিনি বর্মণের সুরে শত্রু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন ।  কিশোর কুমারের ও মান্না দের সাথেও দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। ১৯৮৫ সালে গানের জন্য ভারত থেকে ‘ডক্টরেট” ও লাভ করেছেন।

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version