![দুনিয়া কিসি কে প্যার মে [ duniya kisi ke pyar mein jannat ] 1 দুনিয়া কিসি কে প্যার মে](https://bn.musicgoln.com/wp-content/uploads/2022/03/Lal_Mohammad_Iqbal-e1646465046774.jpg)
“দুনিয়া কিসি কে প্যার মে” গানটি গেয়েছেন পাকিস্তানের গজল গায়ক ও ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী মেহেদী হাসান খান । তিনি উপমহাদেশের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম গায়ক ও সুরস্রষ্টা ছিলেন । গানটি সুর করেছিলেন পাকিস্তানি সুরকার লাল মহাম্মদ ইকবাল ।
দুনিয়া কিসি কে প্যার মে [ duniya kisi ke pyar mein jannat ]
সুরকারঃ লাল মহাম্মদ ইকবাল
প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ মেহেদী হাসান খান
দুনিয়া কিসি কে প্যার মে [ duniya kisi ke pyar mein jannat ]
দুনিয়া কিসি কে প্যায়ার মেন, জান্নাত সে কাম নেহি
ইক দিলরুবা হ্যায় দিল মেন জো হিরো সে কাম নেহি ।।
তুম বাদশাহে হুসন হো, হুসন জাহান হো।
জানে ওয়াফা হো অর মুহাব্বত কি শান হো
জলওয়ে তুমহারে হুসন ক্যা তারুন সে কাম নেহি।।
ভুলায় সে মুসকরাও তো মতি বারাস পারেহ ।
পালকাইন উথা কে থেকো তো কলায়ন ভি হাস পাড়ে
খুসবু তুমহারি জুলফ কি ফুলুন সে কাম নেহি ।।
লাল মহাম্মদ ইকবালঃ
লাল মোহাম্মদ ইকবাল ছিলেন একজন জনপ্রিয় পাকিস্তানি সুরকার । তিনি চলচ্চিত্র গানের স্বর্ণযুগের অন্তর্গত পাকিস্তান চলচ্চিত্র শিল্পের নেতৃস্থানীয় সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে ছিলেন। বুলন্দ ইকবাল তার সহকর্মী লাল মোহাম্মদের সাথে রেডিও পাকিস্তানে সঙ্গীত রচনা করেছিলেন এবং এই জুটি লাল মোহাম্মদ ইকবাল নামে পরিচিত ছিল।
লাল মোহাম্মদ মারা যান ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ।
মেহেদী হাসান খানঃ
দুনিয়া কিসি কে প্যার মে গানের কন্ঠশিল্পী মেহেদী হাসান খান পাকিস্তানের গজল গায়ক ও ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। গজল সম্রাট ও মেহেদী হাসান নামেই সমধিক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। উপমহাদেশের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম গায়ক ও সুরস্রষ্টা ছিলেন। পাকিস্তানের চলচ্চিত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন।
অবিভক্ত ভারতের রাজস্থানে মেহেদী হাসান জন্ম হয়েছিল একটি সঙ্গীত পরিবারে। তিনি দাবী করেছিলেন যে, তাদের ষোল পূর্ব-পুরুষগণ সঙ্গীতে আসক্ত ছিলেন। তার পিতা ওস্তাদ আজিম খান একজন গায়ক ছিলেন। চাচা ওস্তাদ ইসমাইল খান ও পিতা আজিম খানের কাছ থেকে সঙ্গীতে হাতে খড়ি ঘটে। তারা উভয়েই সনাতন ঘরানার ধ্রুপদী সঙ্গীতে দক্ষ ছিলেন। শৈশব থেকেই তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করতেন।
১৯৫২ সালে মেহেদী হাসান প্রথমবারের মতো রেডিও পাকিস্তানে গান করার সুযোগ পান। প্রাথমিকভাবে সেখানে তিনি ঠুমরী গায়ক ছিলেন। চাচা ইসমাইল খান তাকে সঙ্গীত পরিচালকরূপে গড়ে তুলতে সর্বোতভাবে সহায়তা করেন। এতে তিনি সঙ্গীতবোদ্ধাদের মন জয় করেন। উর্দু ভাষায় রচিত কবিতায় তার আগ্রহ ছিল অনেক। পরীক্ষামূলকভাবে খণ্ডকালীনভিত্তিতে তিনি গজল গাইতে শুরু করেন। রেডিও কর্মকর্তাদ্বয় – জেড.এ. বুখারী এবং রফিক আনোয়ার তার গজল গানের অনুরক্ত হন। তাদের আন্তরিক অনুপ্রেরণায় তিনি পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গীত ঘরানায় অন্যতম জনপ্রিয় গজল গায়কে পরিণত হন।
তিনি ১৩ জুন ২০১২ সালে মারা যান ।
আরও দেখুনঃ