নাইয়ারে নায়ের বাদাম [ Naiyare nayer badam tuila ]

নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা
আব্দুল আলীম

“নাইয়ারে নায়রে বাদাম” গানটি গেয়েছেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী আব্দুল আলীম ।

 

 

নাইয়ারে নায়ের বাদাম [ Naiyare nayer badam tuila ]

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ আব্দুল আলীম

নাইয়ারে নায়ের বাদাম [ Naiyare nayer badam tuila ]

নাইয়ারে নায়ের বাদাম

তুইলা কোন দূরে যাও চইলা?

নাইয়ারে নায়ের বাদাম

তুইলা কোন দূরে যাও চইলা?

অচেনা সাগরের মাঝে…

অচেনা সাগরের মাঝে সেই কথা যাও বইলা

নায়ের বাদাম তুইলা কোন দূরে যাও চইলা?

নাইয়া রে

ভাটির দেশে যাও যদি তুমি হিজলতলির বাঁকে

নাইয়া রে

ভাটির দেশে যাও যদি তুমি হিজলতলির বাঁকে

সেথায় আমার ভাইজান থাকে

আমার কথা কইয়ো রে তাকে

মইলাম দুইখে জ্বইলা

নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা
আব্দুল আলীম

কোন দূরে যাও চইলা?

নাইয়ারে নায়ের বাদাম

তুইলা কোন দূরে যাও চইলা?

নাইয়া রে

পরানে আর সইবো রে কত, আগুন জ্বলে মনে

নাইয়া রে

পরানে আর সইবো রে কত, আগুন জ্বলে মনে
বনের আগুন দেখতে পারে
মনের আগুন পুইড়া মারে
ধিকিধিকি জ্বইলা
কোন দূরে যাও চইলা?

নাইয়ারে নায়ের বাদাম

তুইলা কোন দূরে যাও চইলা?
অচেনা সাগরের মাঝে…
অচেনা সাগরের মাঝে সেই কথা যাও বইলা
নায়ের বাদাম তুইলা কোন দূরে যাও চইলা?

নাইয়া রে

নায়ের বাদাম তুইলা কোন দূরে যাও চইলা?

নাইয়া রে

আব্দুল আলীমঃ

নাইয়ারে নায়ের বাদাম তুইলা
আব্দুল আলীম

নাইয়ারে নায়ের বাদাম গায়ক আব্দুল আলীম ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী। যিনি লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন; আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন ।

বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। প্রাইমারি স্কুলে পড়বার সময় গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে গান গাইবার জন্য আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। ঐ অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়।

দেশ বিভাগের পরে আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। এছাড়াও তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রটি হলো ‘লালন ফকির’। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০টির মতো গান রেকর্ড হয়েছিল তার ।

 

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment