নাজমুল হুদা বাচ্চু একজন বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা ছিলেন।অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেলেও নাজমুল হুদা বাচ্চুর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। তিনি ছাত্রাবস্থায় বেতারে গান গেয়েছিলেন। এরপর লালন ফকিরের নাটকে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছিলেন।
Table of Contents
প্রাথমিক জীবন
নাজমুল হুদা ১৯৩৮ সালের ১১ জুলাই মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন।
কর্মজীবন
১৯৬১ সালে তিনি হারানো দিন চলচ্চিত্রে “অভিমান করোনা” গানে প্লেব্যাক করেন। এছাড়া তিনি চান্দা, জোয়ার এলো, ফির মিলেঙ্গে হাম তুম, কার পাপে সহ আরো অনেক চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছিলেন।
নাজমুল হুদা জীবদ্দশায় অনেক চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করেছেন। পাশাপশি বিভিন্ন বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিয়েছেন। নাজমুল হুদা বাচ্চুর ছোট পর্দায় অভিষেক হয় ‘চাচা ভাতিজা’ নাটকের মাধ্যমে। এরপর ‘আঁকাবাঁকা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র বিভিন্ন নাট্যাংশে নিয়মিত দেখা গেছে তাঁকে।
প্রবীণ এই অভিনেতা সত্তর ও আশির দশকের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে অজ্ঞাতনামা (২০১৬), রানওয়ে (২০১০), চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮), ডাক্তার বাড়ী (২০০৭), বিদ্রোহী পদ্মা (২০০৬), চন্দ্রকথা (২০০৩), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২), সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯), ডাঃ রমেশ, অলংকার (১৯৭৮), দরিয়া পাড়ের দৌলতী, সারেং বৌ, বেহুলা লখিন্দর প্রভৃতি।নাজমুল হুদা বাচ্চুর সর্বশেষ চলচ্চিত্র হলো অজ্ঞতনামা।
দেশের চলচ্চিত্রে নাজমুল হুদা বাচ্চুর হাত ধরে অনেক তারকার আবির্ভাব হয়েছিল। তাদের মধ্যে রয়েছেন বুলবুল আহমেদ ও উজ্জ্বলের খ্যাতিমান অভিনেতারা।
ব্যাক্তিগত জীবন
নাজমুল হুদার স্ত্রীর নাম স্ত্রী লিনা নাজমুল । তিনি তিন কন্যার জনক।
মৃত্যু
নাজমুল হুদা বাচ্চু ২০১৭ সালের ২৮ জুন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বনানী কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
পুরস্কার
অভিনয়ে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন বাচ্চু।
আরও দেখুনঃ