না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]

না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]

না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]
উকিল মুন্সী
“না জানিয়া করলাম পিরিতি” গানটি লিখেছেন উকিল মুন্সী । উকিল মুন্সী একজন বাঙালিবাউল সাধক ,তার অনেক গান বাংলা চলচ্চিত্রে সংযোজন হয়েছে ।

না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]

গীতিকারঃ উকিল মুন্সী

না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]

প্রাণ সখি গো…

না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]
উকিল মুন্সী
আমি না বুঝিয়া করলাম পিরিতি

আমার দুঃখে দুঃখে জনম গেল সুখ হইল না একরতি।।
পিরিতি যে বিষে ভরা, আগে তো কইলে না তোরা গো

বিষে বিষে হইলাম সারা, কেঁদে কাটাই দিনরাতি।।
দিলাম যারে ষোল আনা, দিয়াও বন্ধের মন পাইলাম না গো
পর কোনদিন আপন হয় না, হয় নারে সঙ্গের সাথী।।

কত অকুলারে কুলে নিলে, আমায় অকুলে ভাসাইলে গো
আমার ভাসতে ভাসতে জনম গেল, কও উকিলের কি গতি।।

উকিল মুন্সীঃ 

না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]
উকিল মুন্সী
উকিল মুন্সী  একজন বাঙালি বাউল সাধক। তার গুরু ছিলেন আরেক বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন তার অসংখ্য গানের মধ্যের আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে, সোনা বন্ধুয়া রে এতো দুঃখ দিলে তুই আমারে উল্লেখযোগ্য। উকিল মুন্সীর অনেক জনপ্রিয় গান আজও উচ্চারিত হয় সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ।

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়ির নূরপুর বোয়ালীগ্রামে ১৮৮৫ সালের ১১ জুন একটি ধনাঢ্য মুসলিম পরিবারে উকিল মুন্সী জন্মগ্রহণ করেন। তার পারিবারিক নাম আব্দুল হক আকন্দ তার পিতার নাম গোলাম রসুল আকন্দ ও মাতা উকিলেন্নেসা শৈশবে তিনি ঘেটুগানে যোগ দেন। পরে গজল ও পরিণত বয়স থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত বাউল সাধনায় লিপ্ত থাকেন। তার গজল গানের সূত্রপাত হয় তরুণ বয়সে। তার চাচা কাজী আলিম উদ্দিনের বাড়ি মোহনগঞ্জ থানার জালালপুর গ্রামে বেড়াতে যান।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 না জানিয়া করলাম পিরিতি [ Na Janiya Korlam Piriti ]
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সেখানে ধনু নদী পারের এক গ্রামের লবু হোসেনের মেয়ে হামিদা খাতুনের (লাবুশের মা) প্রেমে পড়ে যান তিনি। এই প্রেম নিয়ে তিনি লিখেন “উকিলের মনচোর” নামক একটি গান। তার চাচা এই প্রেমের কথা জানার পর হামিদার বাবা সাধারণ কৃষক হওয়ায় তাকে পরিবার থেকে বাঁধা দেন। তিনি বাড়ি ছেড়ে শ্যামপুর, গাগলাজোর, জৈনপুরে ঘুরে বেড়ান। ১৯১৫ সালে জালালপুর গ্রাম থেকে কয়েক মাইল দূরে মোহনগঞ্জের বরান্তর গ্রামের এক মসজিদে ইমামতি ও আরবি পড়ানোর কাজে নিযুক্ত হন। এই সময়ে ইমামতির পাশাপাশি গজল লিখতেন এবং রাত জেগে তা গাইতেন।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment