নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে [ Nirikh Bandhore Dui Noyone ]

নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে
কালুশাহ ফকির

“নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে” গানটি একটি বাউল সংগীত । গানটির রচয়িতা কালুশাহ ফকির । 

নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে [ Nirikh Bandhore Dui Noyone ]

গীতিকারঃ কালুশাহ ফকির

গানের জনরাঃ বাউলসঙ্গীত

নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে [ Nirikh Bandhore Dui Noyone ]

নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে, ভুইলনা মন তারে…
ঐ নাম ভুল করিলে, যাবিরে মারা
পরবিরে বিষম ফেরে
ভুইলনা মন তারে…।।
আগে আপনকে চেন
পরে গুরুকে মান

দেহ পাশ করে আন

নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে
বাউল
সেযে সই মহরের নকল গুরু
দেবেন তোমায় দয়া করে ।।
প্রেমের গাছে একটি ফল
রসে করে টলমল
কত ভ্রোমর হয় পাগল
সে ফল গুরু এনে শিষ্যকে দিলে
অমর হয় সে সংসারে ।।
প্রেমের হাটে গেলা না
প্রেমের সদাই কিনলানা
প্রেমের বাজার করলানা
ফকির কালুশাহ তাই কয়
জয়নাল বলি যে তোমায়
এই প্রেম সামান্যেতে নয়
এই প্রেমের লাগিয়ারে মানুষ
জঙ্গলেতে বাস করে ।।

বাউলসংগীতঃ

নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে
বাউল

নিরিখ বান্ধরে দুই নয়নে গানটি বাউল গান। বাউল শিল্পী বা বাউল সাধক বা বাউল একটি বিশেষ ধরণের গোষ্ঠী ও লোকাচার সঙ্গীত পরিবেশক, যারা গানের সাথে সাথে সুফিবাদ, দেহতত্ত্ব প্রভৃতি মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। বাউল সাধক বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকে। বাউল গান পঞ্চবিংশ শতাব্দীতে লক্ষ্য করা গেলেও মূলত কুষ্টিয়ার লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচিতি লাভ করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নিকট। বাংলাদেশের কুষ্টিয়া-পাবনা এলাকা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম-বোলপুর-জয়দেবকেন্দুলি পর্যন্ত বাউলদের বিস্তৃতি। বাউলদের মধ্যে গৃহী ও সন্ন্যাসী দুই প্রকারই রয়েছে। বাউলরা তাদের গুরুর আখড়ায় সাধনা করে।

বাউলরা তাদের দর্শন ও মতামত বাউল গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে। বাউল সাধকদের সাধনার মাধ্যম হচ্ছে গান। সাধকের কাছে সাধন ভজনের গূঢ়তত্ত্ব প্রকাশ পায় গানের মাধ্যমে। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে যে পরম সুন্দর ঈশ্বরের উপস্থিতি, সেই অদেখাকে দেখা আর অধরাকে ধরাই বাউল সাধন-ভজনের উদ্দেশ্য। বাউলের ভূখণ্ড তার দেহ, পথপ্রদর্শক তার গুরু, জীবনসঙ্গী নারী, সাধনপথ বলতে সুর, আর মন্ত্র বলতে একতারা। ভিক্ষা করেই তার জীবনযাপন।

আরও দেখুনঃ 

Leave a Comment