Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

পরের জায়গা পরের জমি [Porer jayga porer jomi]

পরের জায়গা পরের জমি
আব্দুল লতিফ

“পরের জায়গা পরের জমি” গানটি লিখেছেন খ্যাতনামা বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী আব্দুল লতিফ এবং গানটি গেয়েছেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের শিল্পী আব্দুল আলীম । 

পরের জায়গা পরের জমি [Porer jayga porer jomi]

গীতিকারঃ আব্দুল লতিফ

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ আব্দুল আলীম

পরের জায়গা পরের জমি [Porer jayga porer jomi]

পরের জায়গা পরের জমি
ঘর বানাইয়া আমি রই,
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।।
সেই ঘরখানা যার জমিদারি
আমি পাইনা তাহার হুকুমজারী,
সেই ঘরখানা যার জমিদারি
আমি পাইনা তাহার হুকুমজারী,
আমি পাইনা জমিদারের দেখা
পাইনা জমিদারের দেখা
আমি পাইনা জমিদারের দেখা,
মনের দুঃখ কারে কই
আমি মনের দুঃখ কারে কই।
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই,
পরের জায়গা পরের জমি
ঘর বানাইয়া আমি রই,
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।।
জমিদারের ইচ্ছেমত দেই না জমি চাষ
তাইতো ফসল ফলে না রে
দুঃখ বারো মাস।
আমি খাজনাপাতি সবই দিলাম
তবু জমিন আমার হয় যে নীলাম,
খাজনাপাতি সবই দিলাম
তবু জমিন আমার হয় যে নীলাম,
আমি চলি যে তার মন জোগাইয়া
চলি যে তার মন জোগাইয়া
আমি চলি যে তার মন জোগাইয়া,
দাখিলায় মেলে না সই
তবু দাখিলায় মেলে না সই।
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই,
পরের জায়গা পরের জমিন
ঘর বানাইয়া আমি রই,
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই
আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।।

আব্দুল লতিফঃ

আব্দুল লতিফ

আব্দুল লতিফ  একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী। তিনি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত আবদুল গাফফার চৌধুরীর কবিতা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো এর প্রথম সুরকার। পরবর্তীকালে তিনি নিজেও ভাষা আন্দোলনের উপর অসংখ্য গান রচনা করেছেন । তিনি ১৬ বছর বয়স থেকে গান গাইতে শুরু করেন। ১৯৪৮ সালের জুলাই মাসে তিনি ঢাকায় আসেন এবং পরের মাসে রেডিও পাকিস্তানের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে যোগ দেন। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন মঞ্চ অনুষ্ঠানে গান গাইতেন এবং ভাষা আন্দোলনে অণুপ্রেরণা যোগাতেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদপ্তরে চাকরি করেছেন।

এই  খ্যাতনামা বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী ২০০৫ সালে মৃত্যূবরণ করেন । 

আব্দুল আলীম:

আব্দুল আলীম

পরের জায়গা পরের জমি গানের কন্ঠশিল্পী আব্দুল আলীম ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী। যিনি লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন; আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন ।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। প্রাইমারি স্কুলে পড়বার সময় গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে গান গাইবার জন্য আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। ঐ অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়।

দেশ বিভাগের পরে আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। এছাড়াও তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রটি হলো ‘লালন ফকির’। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০টির মতো গান রেকর্ড হয়েছিল তার ।

আব্দুল আলীম ৪৩ বছর বয়সে ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। 

 

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version