Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

পাপিয়া সারোয়ার । বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী

পাপিয়া সারোয়ার একজন বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী।তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীতের একজন প্রকাশক। এছাড়াও তিনি অনেক আধুনিক গানও করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তিনি ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন।

 

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

পাপিয়া সারোয়ার বরিশাল জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় কচিকাঁচার মেলার সাথে জুক্ত ছিলেন পাপিয়া। তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তিতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সঙ্গীত দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

১৯৭৩ সালে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত অধ্যয়ন করার জন্য ভারত সরকারের থেকে বৃত্তি লাভ করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শান্তিদেব ঘোষ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীলিমা সেন এর অধীনে রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং দ্রুবতারা জসীর অধীনে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন।তিনি শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সংগীতে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ভারত সরকারের বৃত্তি লাভ করেন।

কর্মজীবন

একজন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হলেও খুব সহজেই শ্রোতারা তাকে চিনেন তার গাওয়া বহু শ্রোতাপ্রিয় গান ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটির মাধ্যমে। তিনি ১৯৯৬ সালে “গীতসুধা” নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে ২০ জন করে শিক্ষাথীকে নিয়মিত তালিম দেন তিনি।

পাপিয়া সারোয়ারের প্রকাশিত অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে পূর্ণ চাঁদের মায়ায় (২০১৩), চোখের দেখা প্রাণের কথা (২০১৪)।

ব্যাক্তিগত জীবন

পাপিয়া সারোয়ার ১৯৭৮ সালে সারোয়ার আলমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্য জীবনে তিনি এক সন্তানের মা। তার মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ে একজন নির্বাহী হিসেবে কর্মরত আছেন।

সম্মাননা

রবীন্দ্রচর্চায় অনন্য অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ পাপিয়া সারোয়ার বাংলাদেশ ও বিদেশে বিভিন্ন সম্মাননা পেয়েছেন। সম্প্রতি বাংলা একাডেমি তাকে ‘রবীন্দ্র পুরস্কার ২০১৩’ প্রদান করে। বাংলা একাডেমি সম্মাননাসূচক ফেলোশিপ ২০১৫ প্রদান করেছে।

আরও দেখুনঃ

 

 

Exit mobile version