প্রানের বন্ধুয়ারে সহেনা [ Praner Bondhuya Re ]

প্রানের বন্ধুয়া রে সহেনা দারুন
আব্দুল আলীম

“প্রানের বন্ধুয়ারে সহেনা দারুন” গানটি গেয়েছেন আব্দুল আলীম । তিনি ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী।

প্রানের বন্ধুয়া রে সহেনা দারুন [ Praner Bondhuya Re ]

প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ আব্দুল আলীম

প্রানের বন্ধুয়ারে সহেনা দারুন [ Praner Bondhuya Re ]

প্রানের বন্ধুয়ারে সহেনা দারুন পরানে ।।

আমার বাঁচে না প্রাণ

আমার বাঁচে না প্রাণ।

তোমায় বিহনে ।।

সহেনা দারুন পরানে ।

প্রাণের বন্ধুয়া রে

সহেনা দারুন পরানে ।।

প্রানের বন্ধুয়া রে সহেনা দারুন
আব্দুল আলীম

 

আমি প্রাণ সপিলাম তোমার কাছে

তুমি বিনে আর কে আছে ।।

আমার জীবন-মরণ ।

তোমার চরণে।।

সহেনা দারুন পরানে

প্রাণের বন্ধুয়া রে

সহেনা দারুন পরানে ।।

 

আমি বণ পোড়া হরিণের মতো

ঘুইরা বেড়াই অবিরত।।

আমায় কাল করিল

কালি জৈবনে ।

সহেনা দারুন পরানে

প্রাণের বন্ধুয়া রে

সহেনা দারুন পরানে ।।

 

আমি কুলের মাথায় কালি দিয়া

কলংকের হার গলায় লইয়া ।।

আমি পাগল হইলাম

তোমার কারনে ।।

সহেনা দারুন পরানে

প্রাণের বন্ধুয়া রে

সহেনা দারুন পরানে ।।

 

আমার বাঁচে না প্রাণ

আমার বাঁচে না প্রাণ।

তোমায় বিহনে ।।

সহেনা দারুন পরানে ।

প্রাণের বন্ধুয়া রে

সহেনা দারুন পরানে ।।

আব্দুল আলীমঃ

প্রানের বন্ধুয়া রে সহেনা দারুন
আব্দুল আলীম

প্রানের বন্ধুয়া রে সহেনা দারুন গায়ক আব্দুল আলীম ছিলেন বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের একজন শিল্পী। যিনি লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের (ভারত) মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন; আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন ।

বাবার নাম ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। প্রাইমারি স্কুলে পড়বার সময় গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে গান গাইবার জন্য আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। ঐ অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তার গানের প্রথম রেকর্ড হয়।

দেশ বিভাগের পরে আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। এছাড়াও তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রটি হলো ‘লালন ফকির’। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০টির মতো গান রেকর্ড হয়েছিল তার ।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment