ফেরদৌস ওয়াহিদ বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের নেপথ্য গায়ক, লোক সংগীত শিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
শৈশব
জন্ম বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর থানায় ১৯৫৩ সালের ২৬ মার্চ। ফেরদৌস ওয়াহিদের বাবা ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ ও মা উম্মে হাবিবা নূরজাহান। ছয় ভাই তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।তিনি তার কিশোর বয়স কাটিয়েছেন কানাডায়।
কর্মজীবন
ফেরদৌস ১৯৭০-এর দশকে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার গানের যাত্রা। পরবর্তিতে লোকসঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন আব্দুল আলিমের কাছে। গান শেখা শুরু করেন ওস্তাদ মদনমোহন দাশের কাছে। ক্লাসিকাল গান শেখেন ওস্তাদ ফজলুল হকের কাছে। তার ছেলে হাবিব ওয়াহিদ ও পপ গায়ক। ক্যারিয়ার শুরু করার সময় তার কয়েকটি হিট গান আনিস জেড চৌধুরী, লাকী আখান্দ এবং আলম খান সুর করেছিলেন। এর পর হতে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত তিনি পরিচালনা ও গান করছেন। এছাড়া দেশ বিদেশে গান গেয়ে থাকেন ।
গান সমুহ
বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক। সিনেমাতে ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রথম প্লে-ব্যাক করেন দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘আসামী হাজির’ সিনেমায়। পরিচালকের লেখা ও আলম খানের সুর সঙ্গীতে সাবিনা ইয়াসমিন সঙ্গে ‘আমার পৃথিবী তুমি’ গানটি করেন। সিনেমায় তার আলোচিত গান হচ্ছে ‘ওগো তুমি যে আমার কতো প্রিয়’, ‘আমি এক পাহারাদার’,‘ শোন ওরে ছোট্ট খোকা’, ‘আমি ঘর বাঁধিলাম’ ইত্যাদি। সিনেমার বাইরে তার গাওয়া আলোচিত গান হচ্ছে ‘মামুনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘এমন একটা মা দেনা’। তুমি আমি যখন একা খোকা এছারাও তার পনেরোর অধিক একক এলবাম রয়েছে ।
অভিনয়
তার নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘কুসুমপুরের গল্প’ এতে তিনি নিজে অভিনয় করেন। ১৯৯৮ সালে আবুল হোসেন খোকন পরিচালিত ’ভয়ঙ্কর বদমাশ’ সিনেমাতে প্রথমবারের মতো নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন ববিতা।
পরিচালনা
২০০৪ সালে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তিনি নির্মাণ করেন ’ডেঞ্জারম্যান’ নামের একটি টেলিফিল্ম এরপর ’দুরন্ত অভিযান’, ’কয়েদি’ নামে দুটি অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চারধর্মী টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। ফেরদৌস ওয়াহিদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ’কুসুমপুরের গল্প’ এই ছবিতে ফেরদৌস ওয়াহিদ ছাড়াও অভিনয় করেছেন নবাগত পলাশ ও পুতুল।
পুরস্কার
- সাঁকো টেলিফিল্ম (অজীবন সম্মাননা)
- আজীবন সম্মাননা ঐক্য চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২০
আরও দেখুনঃ