বড় বিশ্বাস কইরা লিরিক্স .আব্দুর রশীদ সরকার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন না পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। তিনি গাইবান্ধা পৌরসভার কমিশনার ও চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

Table of Contents
বড় বিশ্বাস কইরা লিরিক্স | Boro Bishwas Koira Lyrics | রশিদ সরকার
singer : রশিদ সরকার
বড় বিশ্বাস কইরা লিরিক্স
আব্দুর রশীদ সরকার (জন্মঃ ৫ এপ্রিল ১৯৫৫) বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার রাজনীতিবিদ ও গাইবান্ধা-২ আসনের সংসদ সদস্য।
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
আব্দুর রশীদ সরকার ৫ এপ্রিল ১৯৫৫ সালে গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার থানাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত আইন উদ্দীন সরকার। তিনি বিএ ও এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
আব্দুর রশীদ সরকার জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন না পেয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। তিনি গাইবান্ধা পৌরসভার কমিশনার ও চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৯ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ ও জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় নির্বাচনে ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অধীনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেলেও প্রত্যাহার করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পরা

বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন আত্মভোলা। তাই বড়ভাইয়ের নিকট বাল্যশিক্ষা পাঠ ছাড়া কোনো বিদ্যালয়ে তার লেখাপড়া হয়নি। রশিদ উদ্দিন ১৫/১৬ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী পুখুরিয়া গ্রামের টাকনা মিস্ত্রির সান্নিধ্যে এসে একটু একটু করে একতারা বাজিয়ে বাউলগান শিখতে শুরু করেন। তখন বাহিরচাপড়া গ্রামে কৃষ্ণলীলা গান শুরু হয়। রশিদ উদ্দিন কৃষ্ণের অভিনয় করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী বাংলা বেতাটিসহ সর্বত্র কবিগানের ব্যাপক প্রসার ছিল।
দুর্গাপূজা, কালীপূজা, দোলপূজাসহ হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে কবিগান ছিল এ অঞ্চলে এক বিশেষ আকর্ষণ। পাশাপাশি টিপু পাগলের নেতৃত্বে ১৮২৭ সনে পরিচালিত ফকির বিদ্রোহের ব্যর্থতার পর ল্যাংটা ফকিরদের জলসা ছিল নিত্যদিনের ব্যাপার। তখন বাহিরচাপড়া গ্রামে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থেকে এক ল্যাংটা পীরের আগমন ঘটে। ১৯০৯ সনে রশিদ উদ্দিন এ ল্যাংটা শাহের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে নিজ বাড়িতে হালকা-জিকিরের জলসায় মেতে ওঠেন। বাউল সাধক রশিদ উদ্দিন তাঁর বড় ছেলে আরশাদ উদ্দিনের দুই বছর বয়সে তাকে মৃত্যুশয্যায় রেখে হঠাৎ একরাতে গৃহত্যাগ করেন।
গৃহত্যাগী হয়ে তিনি প্রথমে আসেন তাঁর ওস্তাদ কটিয়াদির ল্যাংটা শাহের আখড়ায়। সেখান থেকে তিনি ল্যাংটা শাহকে সাথে নিয়ে চলে যান আসামের লাউরের পাহাড়ে। এক বছর সেখানে অবস্থানের পর চলে আসেন সিলেটের শাহ পরানের মাজারে।

মাজারে ভ্রমণ রশিদ উদ্দিনের আধ্যাত্মিক সাধনা ও বাউলতত্ত্বের চর্চায় গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। প্রভূত আত্মিক উৎকর্ষ ও তত্ত্বজ্ঞান লাভের পর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। তখন তিনি ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন এবং দুই বছর শুধু দুধ ও রুটি খেয়ে থাকেন। এই সময় তিনি দিনে দুইবার নামাজ পড়তেন, ফজরের ও মাগরিবের নামাজ। পরিধান করতেন সবুজ রঙের পানজাবি ও লুঙ্গি।
তাঁর স্ত্রীর মতে গরুর মাংস ছিল রশিদ উদ্দিনের প্রিয় খাবার। তার সাথে কাঁচামরিচ খেতে পছন্দ করতেন। পড়াশোনা করতেন পুরাতন পুঁথি, বই, মনীষীদের জীবনী, কোরআন-হাদিস, বেদ-মহাভারতসহ নানা ধরনের ধর্মগ্রন্থ। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এ সময়ে তিনি বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে এবং পিছনে কামরাঙা গাছের তলায় সারাদিন আধ্যাত্মিক বিষয়ে বয়ান দিতেন। সেইসাথে চলত গান ও হালকা-জিকির।”