বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না [ Bondhu Bine Pran Bache Na ]

বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না
রাধা রমণ দত্ত

“বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না” লিখেছেনরাধারমণ দত্ত । রাধারমন দত্ত একজন বাংলা সাহিত্যিক, সাধক কবি, বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত ।

বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না [ Bondhu Bine Pran Bache Na ]

গীতিকারঃ রাধারমণ দত্ত

বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না [ Bondhu Bine Pran Bache Na ]

বন্ধু বিনে-প্রান বাঁচে না
আমি রবনা রবনা ঘরে
বন্ধু বিনে প্রান বাঁচে না
এগো বন্ধু বিনে-প্রাণ বাঁচে না
এগো বন্ধু বিনে-প্রাণ বাঁচে না
না না না গো বন্ধু বিনে-প্রাণ বাঁচে না
আমি রবনা রবনা ঘরে
বন্ধু বিনে-প্রান বাঁচে না
আমি রবনা রবনা ঘরে
বন্ধু বিনে-প্রান বাঁচে-না
বন্ধু আমার চিকন কালা
নয়নে লাগাইছে ভালা
বন্ধু আমার চিকন কালা
নয়নে লাগাইছে ভালা
বিশম কালা ধোয়লে ছারে না
আরে বিশম কালা ধোয়লে ছারে না
বিশম কালা ধোয়লে ছারে না
না না না গো বন্ধু বিনে-প্রাণ বাঁচে না
আমি রবনা রবনা ঘরে
বন্ধু বিনে-প্রান-বাঁচে না।
ঘরে আছে কুলবধূ
হস্তে লইয়া স্বরমধু

ঘরে আছে কুলবধূ

বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না
রাধারমণ দত্ত
হস্তে লইয়া স্বরমধু
কী মধু খাওয়াইল জানি না
এগো মধু খাওয়াইল জানি না
এগো মধু খাওয়াইল জানি না
না না না গো বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না
আমি রবনা রবনা ঘরে
বন্ধু-বিনে প্রান বাঁচে না।
ভাইবে রাধারমণ বলে
প্রেমানলে অঙ্গ জ্বলে
ভাইবে রাধারমণ বলে
প্রেমানলে অঙ্গ জ্বলে
জ্বলছে আগুন আর তো নিভে না
এগো জ্বলছে আগুন আর তো নিভে না
এগো জ্বলছে আগুন আর তো নিভে না
না না না গো বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না
আমি রবনা রবনা ঘরে
বন্ধু-বিনে প্রান বাঁচে না।
এগো বন্ধু বিনে-প্রাণ বাঁচে না
এগো বন্ধু বিনে=প্রাণ বাঁচে না
না না না গো বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না।।

রাধারমণ দত্তঃ

বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না
রাধারমন দত্ত

বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না গানের গীতিকার বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। রাধা রমন নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। কৃষ্ণ বিরহের আকূতি আর না-পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না-পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। শ্রীহট্ট বা সিলেট অঞ্চলের পঞ্চখণ্ডে ত্রিপুরাধিপতি ‘ধর্ম ফাঁ’ কর্তৃক সপ্তম শতকে মিথিলা হতে আনিত প্রসিদ্ধ পাঁচ ব্রাহ্মণের মধ্যে ‘আনন্দ শাস্ত্রী’ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাধারমণ দত্তের পুর্ব পুরুষ ছিলেন ।

কবি রাধারমণের পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উপাসনার প্রধান অবলম্বন সংগীতের সংগে তার পরিচয় ছিল শৈশব থেকেই। খ্যাতিমান লোককবি জয়দেবের গীতগৌবিন্দ এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন তার পিতা রাধামাধব দত্ত। পিতার সংগীত ও সাহিত্য সাধনা তাকেও প্রভাবিত করেছিল।১২৫০ বঙ্গাব্দে রাধারমণ পিতৃহারা হন এবং মা সুবর্ণা দেবীর কাছে বড় হতে থাকেন। তিনি বাল্যাবধি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ও ধর্মানুরাগী ছিলেন। শাস্ত্রীয় পুস্তকাদীর চর্চা ও সাধু সন্ন্যাসীর সংস্পর্শে এসে তিনি শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব ইত্যদি নানা মত ও পথের সঙ্গে পিরিচিত হন। কবির সংসারজীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় নি।

তিনি ১৯১৫ সালে মারা যান ।

 

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment