Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

বন্ধু যদি হইতো লিরিক্স [Bondhu jodi hoito nodir jol] | বাউল

বন্ধু যদি হইতো লিরিক্স [Bondhu jodi hoito nodir jol] | বাউল

বাউল
বন্ধু যদি হইতো নদীর জল” এটি একটি বাংলার বাউল গান যা লিখেছেন বাউল সাদক দুর্বিন শাহ্‌ । তিনি একজন গীতিকার এবং একজন বাউল ছিলেন । বাউলেরা উদার ও অসাম্প্রদায়িক ধর্মসাধক। তারা মানবতার বাণী প্রচার করে।

বন্ধু যদি হইতো লিরিক্স [Bondhu jodi hoito nodir jol] | বাউল

গীতিকারঃ দুর্বিন শাহ্‌

বন্ধু যদি হইতো নদীর জল লিরিক্স :

বন্ধু যদি হইতো নদীর জল,
আমার, বন্ধু যদি হইতো নদীর জল,
পিপাসাতে পান করিয়া,
পুড়া প্রান করতাম শীতল

যাইতাম ঘাটে কলসী লইয়া
আমি মীন হইয়া থাকতাম মিশিয়া
আমি আনন্দে সাতার কাটিয়া

বাউলদের ব্যাবহার করা একতারা

মধ্য গাঙ্গে হইতাম তল

বন্ধু যদি হইত গো বাঁশী
আমি হইতাম কালো শশী
আমি তমালের ডালে বসি
বন্ধুর গানের গাইতাম গজল

সময় আমার নাই গো বেশি
আমার বন্ধু যদি হইত রশি গো
গলাতে লাগাইতাম ফাঁসি
বলে দূরবীন শাহ পাগল

দুর্বিন শাহ্‌ঃ

দূরবীন শাহ

দুর্বিন শাহ্‌ বাংলা লোক সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার, বাউলসাধক । তিনি ১৩২৭ বঙ্গাব্দের ১৫ কার্তিক (১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ এর ২ নভেম্বর) ছাতকের সুরমা নদীর উত্তর পারে নোয়ারাই গ্রামের তারামনি টিলায় জন্মগ্রহণ করেন। এই তারামনি টিলা কালান্তরে দুরবীন টিলা নামে পরিচিত হয়। তার পিতা সফাত আলি শাহ ছিলেন একজন সুফি সাধক এবং মা হাসিনা বানু ছিলেন একজন পিরানী।ফলে সঙ্গীতচর্চার একটা পারিবারিক ঐতিহ্যেই তিনি বেড়ে উঠেছেন।

বাংলার বাউল বা বাউল সংগীত অদ্যাবধি গবেষকেরা যেমন কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নি, তবে বাউলের উৎপত্তি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এক কোনো গবেষক বলেছেন- সংস্কৃত “বায়ু” থেকে বাউল শব্দটির উৎপত্তি, বাংলার যে সব লোক “বায়ু” অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়ার সাহায্যে সাধনার মাধ্যমে আত্মিক শক্তি লাভ করার চেষ্টা করেন, তারাই বাউল।

কেও কেও বলেছেন, সংস্কৃত “বাতুল” শব্দ থেকে বাউল শব্দটির উৎপত্তি, এই গবেষকদের মতে- যে সব লোক প্রকৃতই পাগল, তাই তারা কোনো সামাজিক বা ধর্মের কোনো বিধিনিষেধ মানে না, তারাই বাউল।কেও বলেছেন “বাউর” শব্দ থেকে বাউলের উৎপত্তি, এর অর্থ এলো-মেলো, বিশৃঙ্খল, পাগল বাউল শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে মতান্তর রয়েছে। অতিপ্রাচীনকাল থেকে বাউল শব্দটির প্রচলন লক্ষ করা যায়। আনুমানিক সপ্তদশ শতক থেকে বাউল নামের ব্যবহার ছিল বলে জানা যায়,

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থের আদিলীলা অংশে এর ব্যবহার লক্ষ করা করা যায়, চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থে মহাপ্রভু, রামানন্দ রায় ও সনাতন গোস্বামীর নিকট কৃষ্ণ বিরহ বিধুর নিজেকে মহাবাউল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সেই থেকে অনুমান করা হয়,বাউল শব্দের উৎপত্তির কথা। বাউলের রয়েছে নানাবিধ শাখাপ্রশাখা, একেক সম্প্রদায়ের বাউলেরা একেক মত অনুসারী, সেগুলো তাদের সম্প্রদায়ভেদে ধর্মীয় উপাসনার একটি অংশ।

তার অধিকাংশ গানে সুফি ও মরমিবাদ যথেষ্টভাবে ফুটে উঠলেও এসবের বাইরে ভিন্ন মেজাজের অসংখ্য গান লিখেছেন। শ্রেণী বিভাজন করলে এসব গানগুলোকে বাউল, বিচ্ছেদ, আঞ্চলিক, গণসংগীত, মালজোড়া, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, গোষ্ঠ, মিলন, রাধা-কৃষ্ণ বিষয়ক পদাবলী, হামদ-নাত, মারফতি, পির-মুর্শিদ স্মরণ আলা স্মরণ, নবি স্মরণ, ওলি স্মরণ, ভক্তিগীতি, মনঃশিক্ষা, সুফিতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, কামতত্ত্ব, নিগূঢ়তত্ত্ব, পারঘাটাতত্ত্ব, দেশের গানসহ বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এছাড়া বিবিধ শিরোনামে তার রচিত আরো বিভিন্ন পদাবলীকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

তিনি ৫৭ বছর বয়সে ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version