Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

বলবো না গো আর কোনদিন [ Bolbo nago ar kono din ] | বাউল

বলবো না গো আর কোনদিন [ Bolbo nago ar kono din ] | বাউল

বাউল

বলবো না গো আর কোনদিন গানটি একটি বাউল বাংলার খুবই জনপ্রিয় একটি গান । গানটি  বাউল সংগীতশিল্পী সুকুমার সরকার লিখেছেন এবং গেয়েছেন ।

বাউল গান বাংলার মুখ কে সরাসরি ফুটিয়ে ওঠায় , বাউল গানের মাধ্যমে বংলার অনেক বাউল তাদের মনের কথা ফুটিয়ে উঠিয়েছেন।

বাংলাদেশের কুষ্টিয়া-পাবনা এলাকা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম-বোলপুর-জয়দেবকেন্দুলি পর্যন্ত বাউলদের বিস্তৃতি।

বলবো না গো আর কোনদিন [ Bolbo nago ar kono din ] | বাউল

গীতিকারঃ সুকুমার সরকার

সুরকারঃ সুকুমার সরকার

বলবো না-গো আর কোনদিন

বলবো-না গো আর কোনদিন
ভালবাস তুমি মোরে।।

বলে ছিলে গো ভালবাসি গো
আজ কেন গো এমন ও হল।।
এমন ও হল এমন ও হল

বলবো-না গো আর কোনদিন
ভাল বাস তুমি মোরে।

ভালবাসা কভু নয় অপরাধ
তাই নিয়ে গো কেন প্রতিবাদ ।।
কেন প্রতিবাদ, কেন প্রতিবাদ

বলবো-না গো আর কোনদিন
ভালবাস তুমি মোরে।

ভালবাসাতে যে পেয়েছি আঘাত
সেই অনল গদে জ্বলে বার মাস।
বাউলের অন্তরে বাউলের অন্তরে

বলবো-না গো আর কোনদিন
ভালবাস তুমি মোরে।

 

একজন বাউল

 

Bolbo nago ar kono din lyrics :

Bolbona Go Ar Kono Din
Bhalobaso tumi morey

Bolechile go, bhalobasi go
Aaj keno go, emono holo
Emono holo, emono holo

Bolbona Go Ar Kono Din
Valobaso tumi morey

Bhalobasa kobhu noy oporadh
Tai niye go, keno protibad
Keno protibad, keno protibad

Bolbona Go Ar Kono Din
Bhalobaso tumi more

সুকুমার সরকার:

সুকুমার সরকার

সুকুমার সরকার একজন বাংলাদেশী লোক গায়ক যিনি সুকুমার সরকার নামেও পরিচিত। তিনি ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহন করেন । প্রাথমিক জীবনে তার একটি নম্র পটভূমি ছিল কিন্তু এখন তার অসামান্য গানের ক্ষমতার জন্য যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। প্রকৃতপক্ষে, তিনি ‘বলবোনা-গো আর কোনদিন ভালোবাসা তুমি মোরে’ গানটি গেয়ে মানুষের ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেন ।

ব্যক্তিগত জীবনে, বাউল সুকুমার একজন সুন্দরী মহিলাকে বিয়ে করেন এবং তিনি একজন ছেলে ও এক কন্যার পিতা , যা একজন বাউলের জন্য অস্বাভাবিক। অধিকাংশ বাউল বা সাধক অবিবাহিত থেকে গেছেন। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি হিন্দু ধর্মের অন্তর্ভুক্ত।

বাউল শিল্পী বা বাউল সাধক বা বাউল একটি বিশেষ ধরণের গোষ্ঠী ও লোকাচার সঙ্গীত পরিবেশক, যারা গানের সাথে সাথে সুফিবাদ, দেহতত্ত্ব প্রভৃতি মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। বাউল সাধক বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকে। বাউল গান পঞ্চবিংশ শতাব্দীতে লক্ষ্য করা গেলেও মূলত কুষ্টিয়ার লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচিতি লাভ করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নিকট।[১] বাউলদের সাদামাটা জীবন ধারণ ও একতারা বাজিয়ে গান গেয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মাঝে বাউলদের বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলার বাউল বা বাউল সংগীত অদ্যাবধি গবেষকেরা যেমন কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত দিতে পারেন নি, তবে বাউলের উৎপত্তি সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে এক কোনো গবেষক বলেছেন- সংস্কৃত “বায়ু” থেকে বাউল শব্দটির উৎপত্তি, বাংলার যে সব লোক “বায়ু” অর্থাৎ শ্বাস-প্রশ্বাস ক্রিয়ার সাহায্যে সাধনার মাধ্যমে আত্মিক শক্তি লাভ করার চেষ্টা করেন, তারাই বাউল।

কেও কেও বলেছেন, সংস্কৃত “বাতুল” শব্দ থেকে বাউল শব্দটির উৎপত্তি, এই গবেষকদের মতে- যে সব লোক প্রকৃতই পাগল, তাই তারা কোনো সামাজিক বা ধর্মের কোনো বিধিনিষেধ মানে না, তারাই বাউল। কেও বলেছেন “বাউর” শব্দ থেকে বাউলের উৎপত্তি, এর অর্থ এলো-মেলো, বিশৃঙ্খল, পাগল।

 

 

আরোও দেখুনঃ 

Exit mobile version