Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

বাদশা বুলবুল । বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী

বাদশা বুলবুল । বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী

বাদশা বুলবুল বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। তিনি মূলত আধুনিক এবং ফোক গান গেয়ে থাকেন। ১৯৭৯ এবং ১৯৮০ সালে তিনি জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা অর্জন করেছেন।

১৯৯১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তার মোট ২২ টি একক অডিও এবং ১৫০ এর বেশি মিক্সড এ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৬ থেকে তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান করেছেন।

১৯৭৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মঞ্চে,রেডিও,টিভিতে সংগীত পরিবেশন করেছন। বাদশা বুলবুল এর মা তিনি একজন কন্ঠশিল্পী হিসাবে ১৯৬২ সালে তার গাওয়া লালনের গান প্রথম রাজশাহী বেতার থেকে প্রচারিত হয়।

 

 

বাদশা বুলবুল । বাংলাদেশি সংগীতশিল্পী

প্রাথমিক জীবন

বাদশা বুলবুল এর জন্ম ১৯৬৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলায়। তার মা মনোয়ারা বেগম নিজেও একজন সঙ্গীতশিল্পী, তিনি ভাওয়াইয়া, মুর্শিদি, পল্লিগীতি এবং লোকগীতি গেয়ে থাকেন। ১৯৭৯ এবং ১৯৮০ সালে তিনি জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা অর্জন করেছেন।১৯৮১ সালে স্টেজ শো এর মাধ্যমে তার সংগীত জীবন শুরু হয়। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯৯৪ সালে তার প্রথম গানের ক্যাসেট বাজারে আসে।

কর্ম জীবন

আধুনিক বাংলা গানের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বাদশা বুলবুল। আধুনিক গানের পাশাপাশি তিনি ফোক গানে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বেড়ে উঠেছেন সংস্কৃতিমনা পরিবার থেকে। তার মা ছিলেন প্রখ্যাত লালনগীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া ও মুর্শীদি গানের জন্য বিখ্যাত। মা থেকেই গানের হাতেখড়ি পেয়েছেন। গানের জন্য জাতীয় শিশু পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাদশা বুলবুল।

 

 

প্রফেশনালী ১৯৮১ সালে স্টেজ শো এর মাধ্যমে বাদশা বুলবুলের সঙ্গীত জীবন শুরু হয়। ১৯৮৮ সালে তার প্রথম অ্যালবাম মিল্টন খন্দকারের গানে ‘বুকের কাছাকাছি’ প্রকাশিত হয়। যদিও সে সময়ে দেশব্যাপি ৮৮’র বন্যার কারণে অ্যালবামটি তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি।

১৯৯১ সালে বিটিভিতে তিনি শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৯৫ সালে মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরে ‘সে যেন চির সুখী হয়’ অ্যালবামটি প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। মূলত এই অ্যালবামের ‘সেই কৃষ্ণচূড়ার গাছ আজো মরেনি, মরেছে মনের যত আশা’ গানটির মাধ্যমেই তিনি লাইমলাইটে চলে আসেন।

পরবর্তিতে প্রণব ঘোষ, মান্নান মোহাম্মদ, আলী আকবর রুপু, আইয়ুব বাচ্চু, বারী সিদ্দিকী, আজমীর বাবু, হাসান মতিউর রহমান, মোস্তাক আহাম্মেদ, ফরিদ আহাম্মদ, ইবরার টিপু, তাদের সুরে অসংখ্য গান করেছেন। ২০১৭ সালে বাদশা বুলবুলের মিউজিক ভিডিও ‘চাদমুখে চাঁদনী হাসি’ প্রকাশিত হয় এটিও তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

তার প্রায় ১৮ টি একক অ্যালবাম, ১৫০ এর অধিক মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি অসংখ্য চলচ্চিত্রে গান করেছেন। আলাউদ্দিন আলী, শওকত আলী ইমন, শুভ, আলম খান, মোস্তাক আহাম্মদ এর সাথে গানে কাজ করেছেন। ১০৮ টি ডিজিটাল মিডিয়ায় তার গান শুনা যায় বলে তিনি জানান। উল্লেখিত ইউটিউব, আমাজন,স্পটিফাই, আইটিউনস, রিভার্বনেশন, সাউন্ডক্লাউড, ডিজার এবং সিডি বেবী ইত্যাদি।

 

 

অ্যালবাম

বাদশা বুলবুল অসংখ্য অ্যালবামে গান গেয়েছেন তার মধ্যে ‘সে ছিল আমার প্রিয়তমা’, ‘সে যেন চিরসুখী হয়’, ‘হৃদয়ের কবিতা’, ‘তবুও প্রেম আসে’, ‘ভাঙ্গা মন’, ‘যে আমায় দুঃখ দিল’, ‘অন্তরে’, ‘ভুলে যাবো আমি তোমাকে’, ‘মোহনা’, ‘ভুলতে চেয়েছিলাম’, ‘এক জনমে হইলোনা পিরীতি’, ‘একদিন সন্ধায়’, ‘পিরীতি আমার জন্য নয়’, ‘ব্যাথার শ্রাবণ’, ‘আমি আসবোই’ একাকী প্রভৃতি উল্লেখ্যযোগ্য।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পুরস্কার

২০০৫ সালে তিনি ৩৪ তম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার সংক্ষেপে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি আরটিভির বেস্ট সিংগার পুরস্কার সহ নানা পদকে ভূষিত হয়েছেন। সি,সি,আর,এ পুরস্কার ২০০৫, আর,টিভি, পুরস্কার ২০১৪ অন্যান্য অরো অনেক পুরস্কার পেয়েছন বাদশা বুলবুল।

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version