বান্ধিলাম পিরিতের ঘর [Bandhilam piriter ghor]
গীতিকারঃ শাহ আলম সরকার
প্রথম রেকর্ডের কন্ঠশিল্পীঃ মমতাজ বেগম
বান্ধিলাম পিরিতের ঘর [Bandhilam piriter ghor]
শাহ আলম সরকারঃ
শাহ আলম সরকারের জন্ম ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫। তিনি গ্রাম-গঞ্জ শহর নির্বিশেষে বাউল শিল্পী হিসেবে একজন জীবন্ত কিংবদন্তী ।
তিনি বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার কুড়িগাঁও গ্রামের এক সম্ভান্ত ও ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত পরিবারে জন্মেছিলেন ।
তিনি প্রায় আড়াই হাজার গানের রচয়িতা ও সুরকার । তাঁর প্রকাশিত গানের ক্যাসেট ও সিডির সংখ্যা সাড়ে ছয়শত এর অধিক। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী । প্রায় শতাধিক চলচিত্রে তিনি গীতিকার হিসেবে কাজ করেছেন । তার দাদা গোলাম আলী বেপারী দরবারি সংগীতের সাথে খ্যাতিমান হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন, বড় কাকা গোলাম মহিউদ্দিন বেপারী যিনি অসংখ্য গানের গীতিকার ও সুরকার হিসেবে প্রশংসিত। আরেক কাকা “আমিতো মরেই যাব“খ্যাত সাধক মরমী বাউলকবি আব্দুস সাত্তার মোহন্ত যার কাছে তার সংগীত জীবনের হাতে খড়ি। ফুফাজান আব্দুল করিম মুন্সী তিনি ও দরবারী সংগীতের শিল্পী হিসেবে সুপরিচিত। শাহ্ আলম সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে গানের দীক্ষা নেন বিখ্যাত পালাগান শিল্পী আবুল সরকারের কাছে।
ব্যক্তিগত জীবনে শাহ আলম সরকার বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক । তিনি গীতিকার হিসেবে ( রাহে ভান্ডার এনোবল এওয়ার্ড ) পুরস্কার পান ।
মমতাজ বেগমঃ
বান্ধিলাম পিরিতের ঘর গানের গায়িকা মমতাজ বেগম হলেন একজন জনপ্রিয় বাংলা লোকগানের সংগীত শিল্পী । বাংলাদেশের সুর সম্রাজ্ঞী বলে খ্যাত মমতাজ তার চার দশকের কর্মজীবনে ৭০০-এর অধিক গান রেকর্ড করেছেন।
মমতাজ বেগম ৫ মে ১৯৭৪ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মমতাজের মা উজালা বেগম, বাবা মধু বয়াতি ছিলেন বাউল শিল্পী।
মমতাজ প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতি, পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে লোক গানের শিক্ষক আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন। দুই দশকের বেশি তার পেশাদারী সংগীত জীবনে ৭০০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ পায়। লোক গানের শিক্ষক আব্দুর রশীদ সরকারের সাথে তার বিবাহ হয়। মমতাজ সারাদেশে বিভিন্ন সংগীতানুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া তিনি যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের অনেক দেশেই সংগীত অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন এবং তার গান ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
আরও দেখুনঃ
আমার ভাঙ্গা ঘরে (1999) [Amar vanga ghore]