Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

বারে বারে আর আসা হবে না [ Bare Bare Aar Aasa Hobena ]

বারে বারে আর আসা হবে না
ভবা পাগলা

“বারে বারে আর আসা হবে না” গান্তি একটি বাউল গান । গানটি লিখেছেন বাউল ভবা পাগলা । ভবা পাগলা আসল নাম ভবেন্দ্র মোহন সাহা । 

বারে বারে আর আসা হবে না [ Bare Bare Aar Aasa Hobena ]

গানের জনরাঃ বাউল গান

বারে বারে আর আসা হবে না [ Bare Bare Aar Aasa Hobena ]

তুমি ভেবেছ কি মনে, এই এিভুবনে,
তুমি ভেবেছ কি মনে, এই এিভুবনে,
তুমি যাহা করে গেলে কেহ জানে না
বারে-বারে আর আসা হবে না,
বারে-বারে আর আসা হবে না।
এমন মানব জনম,
এমন মানব জনম আর পাবে না
বারে-বারে আর আসা হবে না,
বারে-বারে আর আসা হবে না।

তুমি যাহা করে গেলে আসিয়া হেথায়,
চিত্রগুপ্ত লিখিয়া ভরিলেন খাতায়।

বাউল

তোমার বিচার করিবেন সেই বিধাতায়,
তোমার বিচার করিবেন সেই বিধাতায়
তাহার কাছে ফাঁকিজুঁকি কিছু চলে না..
বারে-বারে আর আসা হবে না,
বারে-বারে আর আসা হবে না।

তুমি যাহা বদনে করনাই প্রকাশ,
অপ্রকাশ তাহার কাছে কি যে সর্বনাশ।
জুড়িয়া রয়েছে হৃদয় আকাশ,
সে জে জুড়িয়া রয়েছে হৃদয় আকাশ,
মানুষের কুলে কালি আর দিও না..
বারে বারে আর আসা হবে না,
বারে বারে আর আসা হবে না।

সাবধানে চল মন হও হুঁশিয়ার,
তোমার বেলা তো বহে যায়
আসে অন্ধকার।
এই মানুষ দেবতা হয়, হয় অবতার,
এই মানুষ দেবতা হয়, হয় অবতার,
ভবা কহে,
ভবা কহে চোখ মেলে চেয়ে দেখ না..
বারে বারে আর আসা হবে না।

তুমি ভেবেছ কি মনে, এই এিভুবনে,
তুমি ভেবেছ কি মনে, এই এিভুবনে,
তুমি যাহা করে গেলে কেউ জানে না
বারে বারে আর আসা হবে না।
এমন মানব জনম,
এমন মানব জনম আর পাবে না
বারে বারে আর আশা হবে না,
বারে বারে আর আশা হবে না।

বাউলসঙ্গীতঃ

বাউল

বারে বারে আর আসা হবে না একটি বাউল গান।  বাউল শিল্পী বা বাউল সাধক বা বাউল একটি বিশেষ ধরণের গোষ্ঠী ও লোকাচার সঙ্গীত পরিবেশক, যারা গানের সাথে সাথে সুফিবাদ, দেহতত্ত্ব প্রভৃতি মতাদর্শ প্রচার করে থাকে। বাউল সাধক বাউল সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকে। বাউল গান পঞ্চবিংশ শতাব্দীতে লক্ষ্য করা গেলেও মূলত কুষ্টিয়ার লালন সাঁইয়ের গানের মধ্য দিয়ে বাউল মত পরিচিতি লাভ করে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নিকট। বাংলাদেশের কুষ্টিয়া-পাবনা এলাকা থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম-বোলপুর-জয়দেবকেন্দুলি পর্যন্ত বাউলদের বিস্তৃতি। বাউলদের মধ্যে গৃহী ও সন্ন্যাসী দুই প্রকারই রয়েছে। বাউলরা তাদের গুরুর আখড়ায় সাধনা করে।

বাউলরা তাদের দর্শন ও মতামত বাউল গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করে। বাউল সাধকদের সাধনার মাধ্যম হচ্ছে গান। সাধকের কাছে সাধন ভজনের গূঢ়তত্ত্ব প্রকাশ পায় গানের মাধ্যমে। প্রত্যেক মানুষের অন্তরে যে পরম সুন্দর ঈশ্বরের উপস্থিতি, সেই অদেখাকে দেখা আর অধরাকে ধরাই বাউল সাধন-ভজনের উদ্দেশ্য। বাউলের ভূখণ্ড তার দেহ, পথপ্রদর্শক তার গুরু, জীবনসঙ্গী নারী, সাধনপথ বলতে সুর, আর মন্ত্র বলতে একতারা। ভিক্ষা করেই তার জীবনযাপন।

 

 

আরও দেখুনঃ 

Exit mobile version