বিজু শাহ হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্রের সুরকার। তিনি সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার কল্যাণজী বীরজী শাহের পুত্র। তিনি ত্রিদেব (১৯৮৯), মোহরা (১৯৯৪), তেরে মেরে সপ্নে (১৯৯৬), গুপ্ত: দ্য হিডেন ট্রুথ (১৯৯৭) ও বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ (১৯৯৮) চলচ্চিত্রের জন্য পাঁচবার শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং গুপ্ত চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
বিজু শাহ । ভারতীয় চলচ্চিত্রের সুরকার
প্রারম্ভিক জীবন
বিজু শাহ ১৯৫৯ সালের ৫ই জুন জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম বিজয় কল্যাণজী শাহ। তার পিতা কল্যাণজী বীরজী শাহ ছিলেন সঙ্গীত যুগল কল্যাণজী-আনন্দজীর একজন। তার চাচা আনন্দজী বীরজী শাহ কল্যাণজী-আনন্দজী যুগলের অপর জন। তার চাচা-চাচী যুগল বাবলা ও কাঞ্চনও সুরকার। বিজুর তিনজন বড় ভাই ও এক ছোট ভাই রয়েছে, তারা হলেন চন্দ্রকান্ত, রমেশ, দীনেশ, ও রাজেশ।
বিজু শাহ ১৯৮৩ সালে সুনন্দা শাহকে বিয়ে করেন। তাদের কন্যা প্রিয়াল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পশ্চিমা ধ্রুপদী পিয়ানো বাজানোর তামিল গ্রহণ করেন।
কর্মজীবন
বিজু শাহ রাজীব রাইয়ের তারকাসমৃদ্ধ ত্রিদেব (১৯৮৯) চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রের মূল সুর করেছিলেন কল্যাণজী-আনন্দজী। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৯২ সালে তিনি সুরকার হিসেবে প্রথম কাজ করেন রাজীব রাইয়ের বিশ্বাত্মা চলচ্চিত্রে। এই চলচ্চিত্রের “সাত সমুন্দর” গানটি পেট শপ বয়েজের গান “হার্ট” থেকে অনুপ্রাণিত। দিব্যা ভারতীর নৃত্য সংবলিত গানটি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এরপর তিনি মোহরা চলচ্চিত্রের দুটি জনপ্রিয় গান “তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত” ও “টিপ টিপ বরসা পানি” গানের সুর করেন।
এছাড়া এতে তিনি কল্যাণজী-আনন্দজীর সুরারোপিত মুকেশের গাওয়া “না কাজরে কী ধার” গানটিও যুক্ত করেন। এই অ্যালবামটির ৮ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়, এবং সেই বছর হাম আপকে হ্যাঁয় কৌন..! চলচ্চিত্রের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রীত বলিউড চলচ্চিত্রের অ্যালবাম হয়ে ওঠে। “তু চিজ বড়ি হ্যায় মস্ত” গানটি নুসরাত ফাতেহ আলী খানের জনপ্রিয় কাওয়ালি “দামা দম মাস্ত কালান্দার” থেকে নেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুনঃ