Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

বিদিত লাল দাস । বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার

বিদিত লাল দাস । বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার

বিদিত লাল দাস ছিলেন একজন বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার। তিনি হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, ও গিয়াস উদ্দিনসহ অনেক লোকসঙ্গীত শিল্পীদের গানের সুর করেছেন। তার সুরকৃত উল্লেখযোগ্য গানসমূহ হল “মরিলে কান্দিসনে আমার দায়”, “সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী”, ” প্রান কান্দে মন কান্দে রে”, “কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো “, ” বিনোদিনী গো তর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি”, ও “আমি কেমন করে পত্র লিখি”।

প্রাথমিক জীবন

বিদিত লাল দাস ১৯৩৮ সালের ১৫ জুন সিলেটের শেখঘাটে সম্ভ্রান্ত জমিদার লাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার দাদা বঙ্ক বিহারী দাস ছিলেন স্থানীয় জমিদার। তিনি একজন পকজ বাধক ছিলেন। তার পরিবার ভারতীয় কংগ্রেস পার্টির সাথে যুক্ত ছিল। বিদিতের পিতা বিনোদ লাল দাস ছিলেন আসাম সংসদের একজন সংসদ সদস্য এবং মাতা প্রভা রানী দাস। বিদিত তার ভাই বোনদের মধ্যে পঞ্চম। ওস্তাদ প্রনেশ দাসের কাছে তার সঙ্গীতের হাতেখড়ি। পরে তিনি ভারতের ওস্তাদ পরেশ চক্রবর্তীর নিকট সঙ্গীত চর্চা করেন।

কর্মজীবন

বিদিত লাল দাস ১৯৬০ এর দশকের একজন অন্যতম বেতার গায়ক। কর্মজীবনে তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের সুর করেছেন। তার সুরকৃত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো”, “সিলেট প্রথম আজান ধ্বনি”, “প্রাণ কান্দে মোর”, “মরিলে কান্দিসনে আমার দায়”, “সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী”, ও “আমি কেমন করে পত্র লিখি”। এছাড়া তিনি হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, ও গিয়াস উদ্দিনের গানে সুর করেছেন। তিনি সিরাজউদ্দৌলা, দ্বীপান্তর, তপসী, প্রদীপশিখা, বিসর্জন, ও সুরমার বাঁকে বাঁকে নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

পারিবারিক জীবন

বিদিত লাল দাস ১৯৬৮ সালে কনক রানী দাসের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পত্তির একমাত্র সন্তান বিশ্বদীপ লাল দাস।

মৃত্যু

বিদিত লাল দাস মুত্রথলী ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হন। ২০১২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর অবস্থায় তাকে সিলেটের এলাইড ক্রিটিক্যাল কেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি ঘটলে ২১ সেপ্টেম্বর তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৪ অক্টোবর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ২০১২ সালের ৮ অক্টোবর তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর চালিবন্দরস্থ শশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মাননা

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version