Site icon সঙ্গীত গুরুকুল, GOLN

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন [ Binodoni go tor ]

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন
রাধা রমণ দত্ত

“বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন” গানটি রাধারমণ দত্ত লিখা একটি গান ।  তিনি একজন বাংলা সাহিত্যিক, সাধক কবি, বৈঞ্চব বাউল, ধামালি নৃত্য-এর প্রবর্তক। সংগীতানুরাগীদের কাছে তিনি রাধারমণ বলেই সমাধিক পরিচিত।

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন [ Binodoni go tor ]

গীতিকারঃ রাধারমন দত্ত

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন [ Binodoni go tor ].

বিনোদিনী গো তোর এ বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি,
মধুর এ বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি।।
বিনোদিনী গো তোর এ বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি।

পুরুষও ভ্রমরা জাতি,
কান্দিলে কি হবে গো রাঁধে,
কান্দিলে কি হবে।।
ও তুই পরের জন্য এত করলি
পরের জন্য এত করলি
পরে কি দাম দেবে গো।

রাধারমণ দত্ত

তোর এ বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি।
বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি।

রাধে যখন রান্তে বসে
কালা বাজায় বাঁশি গো রাধে
কালা বাজায় বাঁশি।
আর এ রাধে যখন রান্তে বসে
কালা বাজায় বাঁশি গো রাধে
কাল বাজায় বাঁশি।
বাঁশি রাধে রাধে রাধে বলে
রাধে রাধে রাধে বলে
সদাই যেন বাজে গো।
তোর এ বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি।

ভাইবে রাধারমণ কান্দে,
নদীর কূলে বইয়া গো রাধে,
নদীর কূলে বইয়া।।
আমি পার হইমু পার হইমু বলে
পার হইমু পার হইমু বলে
দিন তো গেল বইয়া গো।
তোর বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি।
বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি।
মধুর বৃন্দাবন কারে দিয়ে যাবি।
বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন,
কারে দিয়ে যাবি।।

রাঁধারমন দত্তঃ

রাধারমন দত্ত

বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন গানের গীতিকার রাঁধারমন দত্ত বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত। রাধা রমন নিজের মেধা ও দর্শনকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। কৃষ্ণ বিরহের আকূতি আর না-পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না-পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে। শ্রীহট্ট বা সিলেট অঞ্চলের পঞ্চখণ্ডে ত্রিপুরাধিপতি ‘ধর্ম ফাঁ’ কর্তৃক সপ্তম শতকে মিথিলা হতে আনিত প্রসিদ্ধ পাঁচ ব্রাহ্মণের মধ্যে ‘আনন্দ শাস্ত্রী’ নামক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব রাধারমণ দত্তের পুর্ব পুরুষ ছিলেন

কবি রাধারমণের পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় উপাসনার প্রধান অবলম্বন সংগীতের সংগে তার পরিচয় ছিল শৈশব থেকেই। খ্যাতিমান লোককবি জয়দেবের গীতগৌবিন্দ এর বাংলা অনুবাদ করেছিলেন তার পিতা রাধামাধব দত্ত। পিতার সংগীত ও সাহিত্য সাধনা তাকেও প্রভাবিত করেছিল।১২৫০ বঙ্গাব্দে রাধারমণ পিতৃহারা হন এবং মা সুবর্ণা দেবীর কাছে বড় হতে থাকেন। তিনি বাল্যাবধি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ও ধর্মানুরাগী ছিলেন। শাস্ত্রীয় পুস্তকাদীর চর্চা ও সাধু সন্ন্যাসীর সংস্পর্শে এসে তিনি শাক্ত, শৈব, বৈষ্ণব ইত্যদি নানা মত ও পথের সঙ্গে পিরিচিত হন। কবির সংসারজীবন সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় নি।

তিনি ১৯১৫ সালে মারা যান ।

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version