আচার্য পণ্ডিত বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায় ছিলেন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের একজন বিদগ্ধ ও সারগ্রাহী সংগীতশিল্পী এবং সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ২রা জানুয়ারি বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুরে। তিনি গৌরীপুরের জমিদার বীরেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সহপাঠী ছিলেন। কর্মজীবনে বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায় স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার ভিলাই ইস্পাত কারখানার একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ছিলেন।
সঙ্গীতের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ ছিল আবাল্য। পড়াশোনার পাশাপাশি সঙ্গীতের চর্চা করতেন। তিনি সেতার, সরোদ, সুরবাহার, রুদ্রবীণা, সারেঙ্গি সহ নানারকমের বাদ্যযন্ত্রের এবং কণ্ঠ সংগীতের রীতিমতো শিক্ষা নেন বহু সঙ্গীত শিক্ষক ও উস্তাদের কাছে।
মুখার্জী একজন বিদগ্ধ ও সারগ্রাহী সংগীতশিল্পী – যদিও তিনি ওস্তাদ এনায়েত খানের ইমদাদখানি সেতার ছাত্র ছিলেন, তাঁর শিক্ষকদের একটি সম্পূর্ণ তালিকায় সীতরবাদী বলরাম পাঠক, খ্যাত গায়ক বদরী প্রসাদ এবং পতিয়ালার জয়চাঁদ ভট্ট এবং কিরানা ঘরানা, রামপুর ঘর বেকার জোতিশও রয়েছেন চন্দ্র চৌধুরী, সরঙ্গি এবং এসরাজের বাদক হাল্কেরাম ভাট (মাইহার ঘরানা) এবং চন্দ্রিকাপ্রসাদ দুবে (গয়া ঘরানা) এবং পাখবজ umোলক মাধবराव আলকুটকার। তিনি বর্তমান বাংলাদেশের গৌরীপুরের জমিদার বীরেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর সাথেও পড়াশোনা করেছিলেন, যিনি তাকে মরিবন্দ সুরসিংগার (বাস সরোদ) শিখিয়েছিলেন।
তিনি তার পুত্র পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়কে পাঁচ বৎসর বয়স থেকেই সেতার বাদন শেখাতেন। মুখার্জি হলেন সেতার মায়েস্তো বুধাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের পিতা এবং শিক্ষক। তাঁর অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডঃ অরবিন্দ ভি। জোশী, অনিরুদ্ধ এ জোশী, অরুণ মরনি, সঞ্জয় বন্দোপাধ্যায়, প। সুধীর কুমার, অনুপমা ভাগবত, জয়দীপ ঘোষ, মধুসূদন আরএস (সরোদ), রবি শর্মা, রাজীব জনার্দন, কমলা শঙ্কর, কে রোহান নাইডু, ব্রিজিট মেনন।
সেতার
ভিলাইয়ে অবস্থানকালে তার বাড়িতে সঙ্গীতের চর্চা ছিল। প্রায়শই প্রবীণ সংগীতজ্ঞদের বাড়িতে আপ্যায়িত করতেন। কিংবদন্তি গায়ক ওস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খানও আসতেন।
মৃত্যু
বিমলেন্দু মুখোপাধ্যায় ২০১০ সালের ২২ জানুয়ারী মৃত্যুবরন করেন।
আরও দেখুনঃ