বেদের মেয়ে জোসনা লিরিক্স [ Beder Meye Joshna lyrics ] । রুনা লায়লা ও এন্ড্রু কিশোর । Andrew Kishor And Runa Laila
বেদের মেয়ে জোসনা – গানটি বাংলাদেশ এর বিখ্যাত চলচিত্র “বেদের মেয়ে জোসনা” থেকে নেয়া হয়েছে। বেদের মেয়ে জোসনা‘হল তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত ১৯৮৯ সালের বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ এবং তার বিপরীতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল ছায়াছবি। গানটি গেয়েছেন রুনা লায়লা এবং এন্ড্রু কিশোর।
বেদের মেয়ে জোসনা ছবির পোষ্টার
রুনা লায়লা(জন্ম: ১৭ নভেম্বর ১৯৫২) একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সংগীতের জন্য বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের বাইরে গজল শিল্পী হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার সুনাম আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন।
এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ (মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত; ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ – ৬ জুলাই ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী গায়ক। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে’জন্য তিনি ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামে পরিচিত।
বেদের মেয়ে জোসনা লিরিক্স
বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে
আসি-আসি বলে জোসনা ফাঁকি দিয়েছে
বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে
আসি-আসি বলে জোসনা ফাঁকি দিয়েছে
তুমি জোসনা হেথা দিয়েছিলে কথা
তোমারে না দেখলে আমার প্রাণে লাগে ব্যথা
তুমি জোসনা হেথা দিয়েছিলে কথা
তোমারে না দেখলে আমার প্রাণে লাগে ব্যথা
বলো তুমি এখানেতে আসতে কতোক্ষণ
তোমারে না দেখলে আমার ঘরে রয় না মন
বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে
আসি-আসি বলে জোসনা ফাঁকি দিয়েছে
আমি যখন রাঁধতে বসি বন্ধু বাজাও বাঁশি
রান্না-বাড়া রেখে আমি কেমন করে আসি
আমি যখন রাঁধতে বসি বন্ধু বাজাও বাঁশি
রান্না-বাড়া রেখে আমি কেমন করে আসি
দাদারে-দাদীরে আমি কি দিয়ে বুঝাই
কাঙ্খের কলসী নিয়ে আমি প্রেম যমুনায় যাই
আরে বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে
আসি-আসি বলে জোসনা ফাঁকি দিয়েছে
কেমন তোমার মাতা-পিতা, কেমন তোমার হিয়া?
এসব কথা রেখে তুমি আমায় করো বিয়া
কেমন তোমার মাতা-পিতা, কেমন তোমার হিয়া?
এসব কথা রেখে তুমি আমায় করো বিয়া
আরে চলো, চলো, চলো বন্ধু ঘরে ফিরে যাই
দাদা আর দাদীরে গিয়ে নিরালায় বুঝাই
এই বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে
আসি-আসি বলে জোসনা ফাঁকি দিয়েছে
বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে
আসি-আসি বলে জোসনা ফাঁকি দিয়েছে
Beder Meye Joshna lyrics
Beder meye josna amy kotha diyeche
Ashi ashi bole joshna faki diyeche
Tumi josna hetha diyechile kotha
Tomare na dekhle amar prane laage betha
Bolo tumi ekhanete ashbe kotokkhon
Tomare na dekhle amar ghore roy-na mon
Beder meye joshna amy kotha diyeche
Ashi ashi bole josna faki diyeche
Ami jokhon randte boshi bondhu bajao banshi
Ranna baara rekhe ami kemon kore ashi
Dada-re dadi-re ami ki diye bojhai
Kakher kolshi niye ami prem jomunay jai
Kemon tomar maata pita kemon tomar hiya
Eshob kotha rekhe tumi amay koro biya
Are cholo cholo cholo bondhu ghore fire jai
Dada ar dadi-re giye niralay bojhai
এন্ড্রু কিশোর একজন বাংলাদেশী গায়ক । এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ঠা নভেম্বর রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ক্ষীতিশ চন্দ্র বাড়ৈ এবং মাতা মিনু বাড়ৈ রাজশাহীর একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন ।মায়ের কাছে পড়াশোনায় হাতেখড়ি হয়েছিল। তার শৈশব-কৈশোর ও যৌবনকাল কেটেছে রাজশাহী।এন্ড্রু কিশোরের চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের “অচিনপুরের রাজকুমারী নেই” গানের মধ্য দিয়ে।
১৯৮৭ সালে তিনি সারেন্ডার চলচ্চিত্রে আলম কানের সুরে তিনটি গানে কণ্ঠ দেন, সেগুলো হল “সবাইতো ভালোবাসা চায়”, “গুন ভাগ করে করে”, ও “ঘড়ি চলে ঠিক ঠিক”। তন্মধ্যে প্রথমোক্ত গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এই গানের জন্য তিনি তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
কিশোর ২০২০ সালের ৬ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
রুনা লায়লাঃ
বেদের মেয়ে জোসনা গানের গায়িকা রুনা লায়লা একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশী কণ্ঠশিল্পী। বাংলাদেশের বাইরে গজল শিল্পী হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার সুনাম আছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। রুনা লায়লা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীত শিল্পী।
১৯৬৬ সালে লায়লা উর্দু ভাষার হাম দোনো চলচ্চিত্রে “উনকি নাজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গম মিলা” গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন। ১৯৬০-এর দশকে তিনি নিয়মিত পাকিস্তান টেলিভিশনে পরিবেশনা করতে থাকেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তিনি জিয়া মহিউদ্দিন শো-তে গান পরিবেশন করতেন এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়া শুরু করেন ।
দিল্লিতে তার পরিচালক জয়দেবের সাথে পরিচয় হয়, যিনি তাকে বলিউড চলচ্চিত্রে এবং দূরদর্শনের উদ্বোধনী আয়োজনে গান পরিবেশনের সুযোগ করে দেন। এক সে বাড়কার এক চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানের মাধ্যমে তিনি সংগীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সাথে প্রথম কাজ করেন। এই গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি “ও মেরা বাবু চেল চাবিলা” ও “দামা দম মাস্ত কালান্দার” গান দিয়ে ভারত জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।