মাসুদ করিম । বাংলাদেশী গীতিকার

মাসুদ করিম ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশী গীতিকার। দেশ বিদেশের অনেক খ্যাতিমান সুরকারেরা তার রচিত গানে সুর দিয়েছেন এবং বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীরা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

 

মাসুদ করিম । বাংলাদেশী গীতিকার

 

মাসুদ করিম । বাংলাদেশী গীতিকার

প্রাথমিক জীবন

মাসুদ করিম ১৯৩৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার দুর্গাপুর কাজীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা রেজাউল করিম একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা নাহার ছিলেন গৃহিনী।

কর্মজীবন

মাসুদ করিম ঢাকা ও চট্টগ্রাম বেতারে প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। কয়েক বছর পরে তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দান করেন। ১৯৬০ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের জন্য গীত রচনা শুরু করেন। শৈশব থেকেই তিনি স্বপ্ন সাধনায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৫৫ সাল থেকে গান লেখা শুরু করেন। তিনি ‘৬০, ‘৭০, ও ‘৮০ দশকের চলচ্চিত্রের কালজয়ী গানের গীতিকবি ছিলেন।

অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকবি ছিলেন তিনি। ওনার গানের সুরকার ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সুরকারগণ। তাঁরা হলেন ‘সুবল দাস, সমর দাস, আলাউদ্দিন আলী, আলম খান, খন্দকার নুরুল আলম, রাজা হোসেন খান, এ হামিদ, আমির আলী, আজমল হুদা মিঠু সহ অনেকে। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনকে দিয়ে গেছেন অমৃত গানের ছন্দ।

 

Google News Channel Logo

 

 

পারিবারিক জীবন

মাসুদ করিম ১৯৬৫ সালে দিলারা আলোর সাথে চট্টগ্রাম বেতারে পরিচয় ও সেই সূত্র ধরে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রী দিলারা আলো একজন সঙ্গীত শিল্পী। ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সঙ্গীত পরিবেশন করতেন।

তার লেখা বিখ্যাত গানগুলো হল:

১. আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো, গন্ধ বিলিয়ে যাই
২. যখন থামবে কোলাহল ঘুমে নিঝুম চারদিক।
৩. তোমরা যারা আজ আমাদের ভাবছ মানুষ কিনা
৪. যদি ভালবেসে কাছে এলে বন্ধু
৫. তুমি সন্ধ্যা আকাশের তারার মতো
৬. জোনাক জোনাক রাত
৭. সন্ধ্যার ছায়া নামে এলোমেলো হাওয়া প্রভৃতি।

 

YaifwwriN4BzRFCyqbslL4 মাসুদ করিম । বাংলাদেশী গীতিকার
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পুরস্কার ও সম্মাননা

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

 

মাসুদ করিম । বাংলাদেশী গীতিকার

 

মৃত্যু

১৯৯৬ সালের ১৬ নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়লে তার মৃত্যু হয়। ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নর্থ আমেরিকান লেবার ডে লং উইক এন্ড এ ডাউন টাউন মন্ট্রিয়ালের শেরাটন হোটেলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকার ৩ দিনব্যাপি বাৎসরিক সম্মেলন ফোবানা চলাকালে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। মন্ট্রিয়ালে চিকিৎসা চলাকালীন তার দুরারোগ্য ক্যান্সার ধরা পড়ে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর তিনি মন্ট্রিয়ালে মারা যান।

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment